দুর্দান্ত মুস্তাফিজে বিধ্বস্ত সাকিবের খুলনা
বল হাতে দারুণ ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের এই তারকা পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৮৬ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নিল জেমকন খুলনা। জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন ৮৭ রান।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৩.৫ ওভার বোলিং করে মাত্র ৫ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। মুস্তাফিজ ছাড়াও দারুণ বল করেছেন তাইজুল ইসলাম ও নাহিদুল।
গত দুই ম্যাচে এনামুল-ইমরুলকে দিয়ে ওপেন করিয়ে সাফল্য পায়নি খুলনা। তাই চট্টগ্রামের বিপক্ষে এনামুলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাকিব। কিন্তু পজিশন বদলে রানে ফিরতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরে যান সাজঘরে। অবশ্য এই ৩ রান করেই টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিবের আগে ৬ রান করে বিদায় নেন এনামুল।
এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহও। এরপর ২১ রান করা ইমরুলকে সাজঘরে পাঠান তাইজুল ইসলাম। জহুরুল ইসলামকেও নিজের শিকার বানান তাইজুল। মুস্তাফিজ-তাইজুলদের সামনে দ্রুত উইকেট হারাতে থাকা খুলনা বেশি দূর যেতে পারেনি। নির্ধারিত ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর দল।
মুস্তাফিজের চার উইকেট ছাড়াও দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ও নাহিদুল।
দুই দলই টুর্নামেন্টে জয় দিয়ে শুরু করেছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে খুলনা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে দলটি। ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর কাছে হেরেছে খুলনা। অন্যদিকে উড়ন্ত জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা চট্টগ্রাম আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জেমকন খুলনা : ১৭.৫ ওভারে ৮৬ (সাকিব ৩, এনামুল ৬, মাহমুদউল্লাহ ১, ইমরুল ২১ , জহুরুল ১৪, আরিফুল ১৫, শামীম ১১, শহীদুল ৫, রিসাদ ০, মাহমুদ ১* ও আল আমিন ০ ; মুস্তাফিজ ৩.৫-০-৫-৪ সৌম্য ১-০-৬-০ , সৈকত ৩-০-৯-০, শরীফুল ৩-০-১৯-০, তাইজুল ৩-০-৩০-২, নাহিদুল ৪-০-১৫-২)।