ফেদেরারের বিদায়ের মুহূর্ত ভুলতে পারছেন না জকোভিচ
টেনিসকে বিদায় জানিয়েছেন রজার ফেদেরার। লেভার কাপে টিম ইউরোপের দ্বৈত ম্যাচে কোর্টে ছিল তাঁর শেষ উপস্থিতি। নিজের শেষ ম্যাচে দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালের সঙ্গে জুটি গড়ে খেলে হেরেছিলেন। তারপরও লন্ডনের ফেদেরারের বিদায়ী মুহূর্ত সবাইকে ছুঁয়ে গেছে। টেনিসের আরেক তারকা নোভাক জকোভিচ তো ওই মুহূর্ত ভুলতেই পারছেন না।
লন্ডনে নিজের শেষ ম্যাচে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ফেদেরার। স্ত্রী মিরকা শক্ত করে জড়িয়ে ধরেও থামাতে পারেননি তাঁকে। ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা ফেদেরারের কান্না থামাতে গিয়ে উল্টো অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েন। শান্তনা দিতে গিয়ে নোভাক জকোভিচও বারবার চোখ মুছলেন।
টিয়োফোকে হারানোর পর ফেদারের বিদায়ী ম্যাচের ওই আবেগঘন আবহ নিয়ে জকোভিচ বলেছেন, ‘রজারের বিদায়ী ম্যাচের আবেগঘন আবহ ভুলতে পারছি না। তার পরে মানসিক ও শারীরিক ভাবে আবার খেলার মতো অবস্থায় ফেরা কঠিন ছিল। আমরা জীবনের অন্যতম সুন্দর মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছি শুক্রবার।’
জকোভিচ নিজের খেলা নিয়ে বলেছেন, ‘দুমাস প্রতিযোগিতামূলক টেনিসই খেলিনি। তার পরেও ছন্দে ফিরে ভাল লাগছে। টিয়োফোর বিরুদ্ধে সেরা টেনিসই খেলছি। ম্যাচে সেই অর্থে ভুলও বেশি করিনি।’
পেশাদার টেনিসকে বিদায় জানানো ফেদেরার এই জগতে যাত্রা শুরু করেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৬ সালে উইম্বলডন দিয়ে প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছিলেন রজার ফেদেরার। এরপর দেখতে দেখতে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসের রেকর্ড ১৪ গ্র্যান্ডস্ল্যামকে পেছনে ফেলেন। প্রথম পুরুষ টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে জেতেন ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম।
দুই যুগের ক্যারিয়ারের দেড় হাজারেরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন ফেদেরার। ক্ল্যাসিক টেনিসে যুগ মোহিত করে রেখেছিলেন বিশ্বকে। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি ৮টি উইম্বলডনের শিরোপা জিতেছেন ফেদেরার। ছয়টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, পাঁচটি ইউএস ওপেন এবং একটি ফ্রেঞ্চ ওপেন আছে তাঁর ক্যারিয়ারে।