প্যারিস অলিম্পিক
দুই কিংবদন্তির লড়াইয়ে শেষ হাসি জকোভিচের
সম্ভবত শেষবারের মতো দুই টেনিস কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচের লড়াই দেখলেন ভক্তরা। যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী জমেনি সেই ধ্রুপদী লড়াই। ক্লে কোর্টের রাজা নাদালকে উড়িয়ে অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণ জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন জকোভিচ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রোলাঁ গারোয় ৬-১, ৬-৪ গেমে জিতে পুরুষ এককের তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন জকোভিচ। প্রথম সেট ৬-১ ব্যবধানে জয়ের পর দ্বিতীয় সেটেও জকোভিচ সহজেই নাদালকে ধরাশায়ী করবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাদাল। সমতা ফেরান ৪-৪ এ। এরপর আর সুযোগ দেননি জকোভিচ। শেষ পর্যন্ত ৬-৪ সেটে হার মানতে হয়েছে নাদালকে।
ক্যারিয়ারে রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেও, কখনও অলিম্পিকে স্বর্ণের দেখা পাননি জকোভিচ। বয়স হয়ে গেছে ৩৭, তাই এবারই হয়তো অপূর্ণতা ঘোচানোর শেষ সুযোগ তার সামনে। আর ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকসে সোনার পদক জিতেছিলেন নাদাল। ওই আসরেই জকোভিচ জেতেন ব্রোঞ্জ।
২০০৬ সালে এই রোলাঁ গারোতেই প্রথম দেখা হয়েছিল নাদাল-জকোভিচের। ১৮ বছর পর সেই রোলাঁ গারোতে নাদালের বিপক্ষে ৩১তম জয় পাওয়ার পর জকোভিচ স্মরণ করলেন সেই সময়টাকে। ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘২০০৬ সালে আমি ভাবতেও পারিনি প্রায় ১৮ বছর পরেও আমরা একে অন্যের বিপক্ষে খেলব।’
উল্লেখ্য, সিঙ্গেলস থেকে ছিটকে পড়ে নাদালের এখন একমাত্র ভরসা ডাবলস টুর্নামেন্ট। স্বদেশি কার্লোস আলকারাজকে সঙ্গে নিয়ে সোনার লড়াইয়ে নামবেন এই স্প্যানিশ তারকা। এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও ডাবলসে সোনা জিতেছিলেন নাদাল।