বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার অপেক্ষায় কিউই তারকা
বাংলাদেশের উইকেটে যেকোনো প্রতিপক্ষকেই ভুগতে হয়। স্লো উইকেটে পরীক্ষা দিতে হয়। তবে বোলারদের জন্য এই উইকেট অনেকটা আর্শিবাদই বলা চলে। সেই সুবিধা নিতেই মুখিয়ে আছেন কিউই তারকা ম্যাট হেনরি। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ নেওয়া অপেক্ষায় ওপেনার ফিন অ্যালানের করোনার হওয়ার সুবাদে সুযোগ পাওয়া হেনরি।
বাংলাদেশের পা রাখার দুদিনের মাথায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ফিন অ্যালেন। কিউই তারকার করোনা হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে পেসার ম্যাট হেনরিকে সুযোগ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ।
সুযোগ পাওয়ার পর ভার্চুয়াল সংবাদসম্মেলনে হেনরি বলেন, ‘দিন দুয়েক আগে স্টেডির (স্টেড) কাছ থেকে ফোনকল পাই। তিনি আমাকে পরিস্থিতি জানান। ফিনের (অ্যালেন) কথা জেনে অবশ্যই খারাপ লেগেছে। তবে মনে হচ্ছে, সে বেশ ভালো আছে। আমার জন্য এটি রোমাঞ্চকর সুযোগ।’
একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যানের জায়গায় পেসারকে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে কিউই তারকা বলেন, ‘অবশ্যই এটা একইরকম বদলি হয়নি। তবে আমার জন্য ভালো সুযোগ। পাকিস্তান সফরের জন্য যেতামই আমি, এখন আরেকটু আগে বাংলাদেশে যেতে হচ্ছে। আমি আসলে ছেলেদের সঙ্গে যোগ দিতে মুখিয়ে আছি।’
সিরিজের শুরু থেকে হেনরিকে পাওয়া যাবে না। আগামী সোমবার নিউজিল্যান্ড থেকে রওনা দেবেন তিনি। মঙ্গলবার বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তিন দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তাঁকে। এটাই হেনরির প্রথম বাংলাদেশ সফর। তাঁর ভাষায়, ‘বাংলাদেশে আগে কখনও যাইনি, এবারই প্রথম। তবে অনেক কথা হয়েছে ওখানে খেলা নিয়ে। ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলেছি। উপমহাদেশের কন্ডিশনের স্বাদ তাই পেয়েছি। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়েই তাই যাচ্ছি। ওদের সবশেষ সিরিজও দেখেছি। লো-স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। অভিজ্ঞতা তাই যথেষ্টই হয়েছে। এখন চ্যালেঞ্জটি নিতে অপেক্ষায় আছি। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপক্ষে অনেকবারই খেলেছি। তবে সবই আমাদের কন্ডিশনে। এবারের অভিজ্ঞতা অবশ্যই অনেক ভিন্ন হবে। সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় বাংলাদেশ খুব শক্তিশালি দল ছিল। দেশের মাঠে অবশ্য সবসময়ই তারা খুব কঠিন দল হিসেবেই পরিচিত।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ হলেও টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি অভিজ্ঞ নন হেনরি। ৫৫ টি ওডিআই ম্যাচ খেললেও এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই পেসার। অ্যালান করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সুবাদে সুযোগ মিলছে আরেক বার।
বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার)। পরের চারটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।