বিপিএলে গেইল এখন দলের বোঝা
চলমান বিপিএলে একেবারেই অনুজ্জ্বল ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইল। ফরচুন বরিশালের এই ক্রিকেটার এখন পর্যন্ত পাঁচ ইনিংস খেলে ১১৭ রান করেন। নেই কোনো অর্ধশতক। টিম ম্যানেজমেন্টও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। দলের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করেন বরিশালের ব্যাটিং পরামর্শক নাজমুল আবেদীন।
আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে গেলে, হ্যাঁ হতে পারে (বোঝা)। যদি রান না করে, অনেক কিছু পাওয়ার থাকে না। অবশ্য এখনও ওর ক্ষমতা আছে পাঁচ ওভারে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার। আমরা এখনও তার ওপর আস্থা রাখছি। আশা করছি, যত সময় যাবে, নিজেকে মানিয়ে নেবে এবং ভালো করবে।’
এই অভিজ্ঞ কোচ আরো বলেন, ‘ওরা যেখান থেকে আসছে, সেই জায়গার সংস্কৃতিটা অনেকটা এমনই। ওরা খেলাটাকে এভাবেই হয়তো দেখে। আমরা মানিয়ে নিয়েছি। ওটা যেন দলের পারফরম্যান্সে বা দলের শৃঙ্খলায় কোনো প্রভাব না ফেলতে পারে, সেদিকে আমাদের চোখ আছে। এ ছাড়া আর যারা আছে, তারা সবাই খুবই মনোযোগী, সবাই যার যে কাজ, সেটা করছে।’
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত গেইলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ৪৫ রান। এক ম্যাচে ৩৬ এবং আরেক ম্যাচে ২৫ রান করেন। বাকি দুটি ম্যাচে দুঅঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেননি তিনি।
অবশ্য বাংলাদেশের ঘোরায় টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসরে গেইলের আগের পারফরম্যান্স ছিল বেশ নজরকাড়া। বিপিএলের প্রথম আসরে বরিশালের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। সে আসরে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। দুটি সেঞ্চুরিতে ২৮৮ রান করেছিলেন সেবার। দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেন। সে ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১১৪ রান করেছিলেন তিনি। ২০১৫ আসরে বরিশাল বুলসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন গেইল। একটি হাফসেঞ্চুরিতে ১৩৯ রান করেছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে ১০৯ রান করেছিলেন গেইল। ২০১৭ ও ২০১৮ আসরে খেলেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে ১১ ম্যাচে দুটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরিতে ৪৮৫ রান করেছিলেন তিনি। সেবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও হন তিনি। সে আসরে ১৪৬ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। যা এখনও বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ২০১৮ সালে রংপুরের হয়ে ১২ ম্যাচে ২০৩ রান করেছিলেন গেইল। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে চার ম্যাচে ১৪৪ রান করেছিলেন এ ক্যারিবীয় তারকা।