মহামারির দিনে পর্দা উঠল টোকিও অলিম্পিকের
ক্রীড়াপ্রেমীদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। জাপানের টোকিওতে পর্দা উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ; ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ খ্যাত অলিম্পিকের। দর্শকবিহীন স্টেডিয়ামে হওয়া এবারের প্রতিযোগিতাকে টিভি পর্দাতেই স্বাগত জানাল গোটা বিশ্ব।
করোনাকালে টোকিও অলিম্পিক হওয়া নিয়ে কদিন আগেও শঙ্কা তৈরি হয়। অ্যাথলেটদের জন্য তৈরি হওয়া ভিলেজে হানা দেয় করোনা। একে একে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। তবুও অলিম্পিক থেকে পিছ পা হননি আয়োজকরা। বিভিন্ন ইভেন্টে সারা বিশ্বের প্রতিযোগিদের শুরু হয়ে গেল খেলাধুলার এই বিশেষ আয়োজনটি।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বর্ণিল আলোকসজ্জা, জাপানের নানা সংস্কৃতি নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হলেও করোনার কারণে পুরো স্টেডিয়াম ছিল খালি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই করোনা মহামারির কারণে হারানো পৃথিবীর সব মানুষদের জন্য সমবেদনা জানানো হয়। পালন করা হয় নীরবতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চ পাস্টে অংশ নেয় দেশগুলি। ‘নতুন স্বপ্নে অলিম্পিক যাত্রা’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার টোকিও অলিম্পিকে গেছে বাংলাদেশও। লাল-সবুজের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছে মার্চ পাস্টে। নীল রঙের পোশাক পরে নিজেদের পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন বাংলাদেশিরা।
২০৬টি দেশের প্রায় সাড়ে ১১ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে এবারের অলিম্পিকে। যারা অলিম্পিকের ৩৩টি খেলার ৫০টি ডিসিপ্লিনে ৩৩৯টি ইভেন্ট তথা স্বর্ণপদকের জন্য লড়াই করবেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ছয়জন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন এবারের আসরে। গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে টোকিও অলিম্পিকের ১২১ দিনের টর্চ রিলে বা মশাল দৌঁড়। এটি আজ ফুকুশিমায় শেষ হয়েছে। মশাল দৌড়ে ১০ হাজার দৌড়বিদ অংশ নিয়েছেন।
তবে এই আয়োজন নিয়ে জাপানের মানুষরা প্রতিবাদ করছে। দেশটিতে করোনার অবস্থা ভালো নয়। তাই সাধারণ মানুষের দাবি এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করার। তাঁদের আশঙ্কা এই প্রতিযোগিতা করোনা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে জাপানে।