মাশরাফীদের সামনে মুশফিকের ঢাকার বড় চ্যালেঞ্জ
ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরেছেন সাব্বির রহমান। ব্যর্থতা কাটিয়ে করেছেন দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি। সঙ্গে রানের দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম, আল আমিন ও আকবররা। তরুণ ব্যাটসম্যানদের দিনে জেমকন খুলনাকে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বেক্সিমকো ঢাকা।
আজ বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের ১৭তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৯ রান সংগ্রহ করে বেক্সিমকো ঢাকা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে বেক্সিমকো ঢাকা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ঝড় তোলেন ঢাকার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম। সাকিব আল হাসানের সেই ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান নাঈম। দ্রুত গতিতে ছুটতে থাকা নাঈমকে চতুর্থ ওভারে থামান শহীদুল ইসলাম। ১৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন নাঈম।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন আল আমিন ও সাব্বির রহমান। ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা সাব্বির এই ম্যাচে পাখা মেলেন। নিজের প্রথম বল থেকে খেলেন বেশ আগ্রাসীভাবে। আল আমিনের সঙ্গে জুটি গড়ে ৬৪ রান তোলেন সাব্বির। ১১তম ওভারে আল আমিনকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন নাজমুল ইসলাম অপু। ফেরার আগে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩৬ রান তোলেন তিনি।
তবে রান বন্যার ইনিংসে থিতু হতে পারেননি ছন্দে থাকা মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নিজের স্পেলের শেষ ওভারে মুশফিককে আউট করেন মাশরাফী। আর রান আউট হয়ে ফেরেন ইয়াসির।
এরপর সাব্বিরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আকবর আলী। মাঠে নেমেই নাজমুল ইসলাম অপুর স্পেলের শেষ ওভারে চমক দেখান আকবর। ওই ওভারে নাজমুলকে চার ছক্কা হাঁকান আকবর। ঠিক ৩১ রানের মাথায় মাশরাফীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এর মধ্যে ৩৫ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির। হাফসেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫৬ রানে সাব্বিরের প্রতিরোধ ভাঙেন শহীদুল। ৩৮ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা।
এরপর শেষের দিকে মুক্তারদের ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৭৯ রানে থামে ঢাকা।
খুলনার হয়ে বল হাতে সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন প্রথমবার সুযোগ পাওয়া নাজমুল অপু। চার ওভারে ৫১ রান খরচায় একটি উইকেট নিয়েছেন। সমান চার ওভার করে মাত্র ২৬ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফী। শহীদুল নিয়েছেন দুটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বেক্সিমকো ঢাকা : ২০ ওভারে ১৭৯/৭ (নাঈম ৩৬, সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, মুশফিক ৩, ইয়াসির ০, আকবর ৩১, মুক্তার ৬, রবিউল ১, নাসুম ৫; সাকিব ৩-০-৩৬-০, নাজমুল ৪-০-৫১-১, মাশরাফী ৪-০-২৬-১, শহীদুল ৪-০-৩১-২, শুভাগত ১-০-১১-০)।