মেসি-বার্সা বিচ্ছেদ : বৈঠকেও নিষ্পত্তি হয়নি
লিওনেল মেসি ও বার্সেলোনার মধ্যে দ্বন্দ্ব যেন টিভি সিরিয়ালকেও হার মানাবে। একেকবার গল্পের মোড় একেক দিকে যাচ্ছে। কিন্তু ফলাফল আসছে না। এই দ্বন্দ্বের অবসানের জন্য গতকাল বুধবার বার্সেলোনার সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মেসির বাবা জোর্সে মেসি।
দীর্ঘ ৯০ মিনিট ধরে বার্সা সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন মেসির বাবা। কিন্তু বৈঠক শেষে দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে। একপক্ষের দাবি, এবারই কাতালোনিয়া ছাড়বেন মেসি। অন্যপক্ষ বলছে, মেসিকে ছাড়বেন না তারা। ছাড়লে অবশ্যই ৭০০ মিলিয়ন ইউরো রিলিজ ক্লজ দিতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা।
গতকাল স্পেনের স্থানীয় সময় বিকেলে বার্সা কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মেসির বাবার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বড় ভাই রদ্রিগো, এজেন্ট ও আইনজীবী। কিন্তু বৈঠক শেষে কোনো সমঝোতা আসেনি। তবে দুপক্ষ নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। বিষয়টি হয়তো শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াতে পারে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম মুন্ডো দেপোর্তিভো, এএস ও স্পোর্তসহ কয়েকটি পত্রিকা জানিয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে আলোচনা। তবে কোনো সমাধান না হলেও মুখোমুখি আলোচনা শুরু হওয়ায় বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশা জেগেছে।
গত ২৫ আগস্ট ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন মেসি। এরপরই তোলপাড় শুরু হয় ফুটবলবিশ্বে। মেসির রিলিজ ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। আর্জেন্টাইন তারকার ইচ্ছা, ক্লজ ঝামেলা মিটিয়ে বিনা ফিতে বার্সা ছাড়া। তবে বার্সা সেটি মানতে নারাজ। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে সেরা ফরোয়ার্ডকে বিক্রি করতে চায় কাতালান ক্লাবটি।
২০০১ সালে বার্সেলোনায় নাম লেখান লিওনেল মেসি। দুই দশক পর মেসি-বার্সার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হতে যাচ্ছে। তবে বিদায়টা সুখকর হচ্ছে না। দুপক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্যে ভাঙতে চলেছে সম্পর্ক।
বার্সার চুক্তি অনুযায়ী, গত ১০ জুনের মধ্যে মেসি তাঁর ইচ্ছের কথা জানালে তিনি বিনা ফিতে ক্লাব ছাড়ার সুযোগ পেতেন। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের ২০১৯-২০ মৌসুম করোনার কারণে পেছানোর কারণে এই শর্তের কার্যকারিতা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো যায় বলে জানান মেসির আইনজীবী। সেটি মানতে নারাজ বার্সা। সব মিলিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।