ম্যাককিওনের দ্বিতীয় স্বর্ণজয়ের উচ্ছ্বাস
অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের স্বাদ আগেই পেয়েছিলেন এমা ম্যাককিওন। তবে সেটা ছিল দলীয় ইভেন্টে। ম্যাককিওনের অপেক্ষা ছিল ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণজয়ের সাফল্য পাওয়ার। গতকাল শুক্রবার অবশেষে ম্যাককিওনের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়। টোকিও অলিম্পিকে ক্যারিয়ারে প্রথমবার ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জিতলেন তিনি। গতকালের সাফল্য আজও ধরে রেখেছেন ম্যাককিওন। আজ শনিবার নিজের দ্বিতীয় স্বর্ণজয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসলেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাঁতারু।
আজ টোকিও অ্যাকুয়াটিকস ২০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে ২ মিনিট ০৪ দশমিক ৬৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন ম্যাককিওন। ২ মিনিট ০৫ দশমিক ৪২ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কানাডার কাইলি মাস। এই ইভেন্টের ব্রোঞ্জও জিতেছেন ম্যাককিউয়েনের সতীর্থ এমিলি সিবম। তাঁর সময় লেগেছে ২ মিনিট ০৬ দশমিক ১৭ সেকেন্ড।
এর আগে গতকাল টোকিও অ্যাকুয়াটিকস সেন্টারে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ৫১ দশমিক ৯৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন ম্যাককিওন। একই সঙ্গে এই ইভেন্টে গড়েছেন অলিম্পিক রেকর্ড।
এই ইভেন্টে ৫২ দশমিক ২৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে এশিয়ান রেকর্ড গড়ে রুপা পেয়েছেন হংকং চীনের শিভন বের্নাডেট হোহি। আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন আরেক অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু কেট ক্যাম্পবেল। তাঁর লেগেছে ৫২ দশমিক ৫২ সেকেন্ড।
রিও অলিম্পিক ও এবারের টোকিও অলিম্পিক মিলে দুটি দলীয় স্বর্ণ, দুটি দলীয় রুপা, দুটি দলীয় ব্রোঞ্জ ও একটি ব্যক্তিগত ব্রোঞ্জ জিতেছেন ম্যাককিওন। দলীয়ভাবে এত সাফল্যের পর গতকাল জিতলেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে প্রথম স্বর্ণ।
স্বর্ণ জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে ম্যাককিওন বলেন, ‘আমি কখনোই অলিম্পিকস বা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতিনি। অলিম্পিকের পদকের বেদিতে সবচেয়ে উঁচু জায়গাতে উঠতে পারাটাই অলিম্পিক। বিশ্বাসই করতে পারছি না যে, মাত্রই আমি সোনার পদক জিতে গেছি। উলোতে (উলংগং) যখন ফিরব, তখন এই আবেগ আসল রূপ নিয়ে বেরিয়ে আসবে।’