‘আমার কোচিং-জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি’
ফলটা ৩-০ হলে আমার কোনো আফসোস হতো না। একটা দিন খারাপ যেতেই পারে। কিন্তু ৩-২ গোলে হারা আমার জন্য বড়ই বেদনার। এটা মেনে নেওয়া যায় না। শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে যাওয়া ভীষণ আক্ষেপের।’- মালয়েশিয়ার
কাছে হেরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে রানার্স-আপ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের প্রতিক্রিয়া।
রোববার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই ডাচ
কোচ বলেন, ‘এই হার আমার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতায় ফিরে ভেবেছিলাম দিনটা আমাদের হবে। কিন্তু আমি ভাবতে পারিনি শেষ পর্যন্ত ছেলেরা আমাকে হতাশ করবে।’
‘নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেও হেরে যাওয়াটা বড় আক্ষেপের। এর জন্য কাউকে দায়ী করা যায় না। এটি নিছকই আমাদের দুর্ভাগ্য।’
তবে মালয়েশিয়ার প্রথম গোলে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের যে দায় ছিল, তা জানাতে ভোলেননি বাংলাদেশ কোচ, ‘গোলরক্ষক বলের লাইন মিস করেছিল। এটা আমার দৃষ্টি এড়ায়নি। ও ভুল করেছে ঠিকই, কিন্তু এমন ম্যাচে তা হতেই পারে।’
ফাইনালে মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেনের অনুপস্থিতি ভালোই অনুভব করেছেন ক্রুইফ, ‘হেমন্ত ও জাহিদকে না পাওয়া দলের যে কতটা ক্ষতি করেছে তা বলে বোঝানো যাবে না। তারা দুজন থাকলে ম্যাচের চিত্রটাই পাল্টে যেত।’
ম্যাচ শুরুর আগে ওয়ার্মআপ করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় হেমন্ত মাঠে নামতে পারেননি। আর জাহিদ চোট পেয়ে ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই বেরিয়ে আসেন মাঠ থেকে।
সংবাদ সম্মেলনে রেফারির বিতর্কিত ভূমিকারও সমালোচনা করলেন বাংলাদেশ কোচ, ‘এই রেফারি এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের যোগ্য নন। তাঁর কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্ত আমার দলকে ভুগিয়েছে।’