তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও আর্সেনালের ড্র
ম্যাচ শেষে ফলাফলটাকে বিপর্যয়ই বললেন বোর্নমাউথ কোচ ইডি হোয়ি। আর কিইবা বলতে পারতেন, তিন গোলে এগিয়ে থাকার পরও আর্সেনালের সঙ্গে জিততে পারেনি তাঁর দল। ছয় গোলের মহা রোমাঞ্চের ম্যাচ ড্র হলেও আর্সেনালের জন্য তো সেটা জয়ের চেয়েও বড় কিছু। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচের শেষ ২০ মিনিটে তিন গোল করে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে এক পয়েন্ট নিয়ে এলো গানাররা।
পরিসংখ্যান আর শক্তিমত্তার বিচারে বোর্নমাউথের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল আর্সেনাল কারণ সর্বশেষ তিন ম্যাচে নয় গোল হজম করা বোর্নমাউথ প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে মাত্র এক একবার আর সেই দলটাই কি না আর্সেনালকে পেয়ে গোল উৎসব করে চলল। প্রথমার্ধের খেলা দেখে বোর্নমাউথকে আর্সেনাল ভেবে ভুল করতে পারেন অনেকেই। পুরো সময়টাই আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছে স্বাগতিকরা।
শুরু থেকেই আর্সেনালকে চেপে ধরা বোর্নমাউথকে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬ মিনিট পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যেই অন্তত দুবার গোলে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করে হোয়ির দল। ১৬ মিনিটে চার্লি ড্যানিশের কোনাকুনি এক শটে গোল পায় বোর্নমাউথ। দ্বিতীয় গোলটিতে অবশ্য রেফারিরও খানিকটা অবদান রয়েছে। রায়ান ফ্রেশারকে ট্যাকল করতে গেলে ফেলে দেন আর্সেনাল ডিফেন্ডার জাকা। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পিওতর চেককে ফাঁকি দিয়ে গোল করতে কোনো সমস্যাই হয়নি উইলসনের।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় গানাররা। দ্বিতীয়ার্ধটা অবশ্য দারুণভাবে শুরু করে আর্সেনাল। প্রথম মিনিট পাঁচেক টানা আক্রমণ করেন গিরুদ-সানচেজরা। তবে ৫৬তম মিনিটে তৃতীয় গোল হজম করে ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। হ্যান্ডবল হওয়ায় সেই যাত্রায় বেঁচে যায় আর্সেনাল। ৫৮তম মিনিটে ফিরতি আক্রমণে গোল পায় বোর্নমাউথ। এবার গোলদাতা ফ্রেশার।
তিন গোলে পিছিয়ে পড়া আর্সেনাল তখন দিগ্বিদিকশূন্য।৭০তম মিনিটে জিরুদের হেডে বল পেয়ে ব্যবধান কমান সানচেজ। আর্সেনাল যে ম্যাচে ফিরবে তখনো কেউ কল্পনাই করেনি। লোওবির বদলে নামা পেরেজের কোনাকুনি শটে দ্বিতীয় গোল করে আর্সেনাল। এরপরই জমে ওঠে ম্যাচ। র্যামসিকে ফাউল করার জন্য সিমন ফান্সিসের লাল কার্ডে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বোর্নমাউথ। আর এই সুযোগেই ৯২তম মিনিটে দারুণ এক হেডে আর্সেনালকে সমতায় ফেরান গিরুদ। প্রতিপক্ষের মাঠে ড্র নিয়ে ফেরা আর্সেনালের সংগ্রহ ৪১ পয়েন্ট। এই সময়ে টেবিলের চারে অবস্থান করছে দলটি।