এমএসএন ম্যাজিকে শেষ আটে বার্সা
অনেক দিন পর ফিরলেন সেই চিরচেনা মেসি। সেইসঙ্গে সুয়ারেজ ও নেইমারও রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন। আর এই ত্রিমূর্তির গোলেই কোপা দেল রের শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এই ম্যাচ নিয়ে দারুণ শঙ্কায় ছিলেন বার্সাভক্তরা। কারণ, প্রথম লেগে এই বিলবাওয়ের কাছেই ২-১ গোলে হেরে যান মেসিরা। নিজেদের মাটিতে পেয়ে বিলবাওকে মরণ কামড় দিয়ে ছাড়ল বার্সা। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও নেইমারের সমন্বয়ে গঠিত এমএসএন জুটি একসঙ্গে জ্বলে ওঠায় কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে অ্যাথলেটিকো বিলবাওকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল বার্সা।
ক্যাম্প ন্যুতে জয়ের রাতে গোলের সেঞ্চুরি করলেন সুয়ারেজ। কাতালানদের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করতে সুয়ারেজ খেলেছেন মাত্র ১২০ ম্যাচ। আগের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় বার্সার জন্য এটি ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। নিজেদের মাঠে শুরুটাও দারুণ করেন মেসি-নেইমাররা। শুরুর ১০ মিনিটে বিলবাওকে বেশ কয়েকবার আক্রমণ করে এ জুটি। তবে তাতে খুব একটা সুবিধা অবশ্য হচ্ছিল না। ২৭তম মিনিটে সুয়ারেজ গোল পেয়েও অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, অনসাইডেই ছিলেন এই উরুগুয়ে তারকা। তবে ৩৫তম মিনিটে আর রক্ষা পায়নি অতিথিরা। মাঝমাঠ থেকে নেইমারের উদ্দেশে বল বাড়ান মেসি। আর মেসি সেটা দেন সুয়ারেজকে। এমএসএন ত্রয়ীর দারুণ বোঝাপড়ায় শততম গোল করেন সুয়ারেজ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। ৪৮ মিনিটে বিলবাওয়ের ডিফেন্ডার বোভেডা নেইমারকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। অনেক দিন ধরে গোলখরায় থাকা ব্রাজিলিয়ান তারকা পেনাল্টি থেকে গোল করেন। মিনিট দুয়েক পরেই অবশ্য গোল করে বিলবাও। সাবোরিতের গোলে কোনোমতে খেলায় টিকে থাকে সফরকারীরা। ৭৮তম মিনিটে দারুণ এক ফ্রিকিকে গোল করেন মেসি। মেসির এই গোলেই জয় নিশ্চিত হয় বার্সার।