‘এটাই নিউজিল্যান্ডের সেরা টেস্ট দল’

লর্ডসে প্রথম টেস্টে শেষ দিনের নাটকীয়তায় হেরে গেলেও হেডিংলিতে দ্বিতীয় টেস্টে হতাশায় পুড়তে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডকে ১৯৯ রানে হারিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে টানা সাত সিরিজে অপরাজিত থাকার গৌরবে উদ্ভাসিত ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হয়েছে ১-১ অমীমাংসায়। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দলের এই সাফল্যে নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম ভীষণ আপ্লুত। এটাকে নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা টেস্ট দল বলতেও দ্বিধা করছে না কোনো কোনো পত্রিকা।
লর্ডসের হারের প্রসঙ্গ টেনে ডোমিনিয়ন পোস্ট লিখেছে, ‘লর্ডসে শেষ দিনে যন্ত্রণাদায়ক ব্যাটিংয়ের পর এটা বিশাল জয়। এই জয়ের সুবাদে দলটা নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা দলের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।’
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড অবশ্য কোনো রাখঢাক না করে পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে ম্যাককালামের দলের শ্রেষ্ঠত্ব, ‘এই জয় দিয়ে তিনি (ম্যাককালাম) শতাংশের জয়ের হিসাবে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল অধিনায়কের তালিকায় জিওফ হাওয়ার্থকে পেছনে ফেলে দিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে হাওয়ার্থ ৩০ ম্যাচে ১১টি (৩৬.৬৭ শতাংশ), ম্যাককালাম ২৪ ম্যাচে নয়টি (৩৭.৫০ শতাংশ) ও স্টিভেন ফ্লেমিং ৮০ ম্যাচে ২৮টি (৩৫ শতাংশ) জয় পেয়েছেন।’
তবে শুধু টেস্টে নয়, ম্যাককালামের নেতৃত্বে ওয়ানডেতেও দারুণ সফল নিউজিল্যান্ড। ২০১৫ সালের আগে ছয়বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও ফাইনালে খেলতে পারেনি কিউইরা। সেই হতাশা ঘুচিয়ে এবারের বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছে তারা।
হেডিংলিতে জিততে হলে চতুর্থ ইনিংসে ৪৫৫ রান করে রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। চতুর্থ দিন বৃষ্টির কারণে মাত্র ২৯ ওভার খেলা হতে পেরেছিল। মঙ্গলবার বিনা উইকেটে ৪৪ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করা ইংল্যান্ড গুঁড়িয়ে গেছে কেইন উইলিয়ামসন ও মার্ক ক্রেইগের ঘূর্ণিতে।
দিনের চতুর্থ ওভারে অ্যাডাম লিথকে (২৪) কট বিহাইন্ড করে কিউইদের প্রথম সাফল্য এনে দেন ট্রেন্ট বোল্ট। এরপর গ্যারি ব্যালান্স (৬), ইয়ান বেল (১) আর জো রুটের (০) ব্যর্থতা স্বাগতিকদের পরিণত করে চার উইকেটে ৬২ রানে। অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক (৫৬) ও উইকেটরক্ষক জস বাটলার (৭৩) অনেক লড়াই করলেও স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৫৫ রানে। অফব্রেক বোলিংয়ে উইলিয়ামসন ও ক্রেইগের শিকার তিনটি করে উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১২০ রানের দারুণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নিউজিল্যান্ডের বিজে ওয়াটলিং। সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও একজন নিউজিল্যান্ডার। দুই ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে পুরস্কারটা উঠেছে বাঁহাতি পেসার বোল্টের হাতে।