কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের স্বপ্নসারথি
২০১৪ বিশ্বকাপের কথা। ঘরের মাঠে ব্রাজিল অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু দেশের মানুষকে হতাশায় ডুবিয়ে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-০ গোলে হারের আরেকটি লজ্জা। দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ভক্তকে স্তব্ধ করে দেওয়া ‘সেলেসাও’রা কবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সে প্রশ্নেই তখন তোলপাড় ফুটবলাঙ্গন।
তবে ছন্দে ফিরতে সময় নেয়নি ব্রাজিল। লুইস ফেলিপে স্কলারিকে ছাঁটাই করে দ্বিতীয় দফায় কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুঙ্গাকে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কও ব্রাজিলকে ফিরিয়েছেন সাফল্যের ধারায়। গত বছরের জুলাইয়ে কোচ হওয়ার পর দুঙ্গার অধীনে টানা ১০টি ম্যাচ জিতেছে ব্রাজিল। অবশ্য নেইমারের কৃতিত্বও কম নয়। স্বদেশকে জয়ের ভেলায় ভাসিয়ে নিয়ে যেতে বার্সেলোনা তারকার বিশাল অবদান। বৃহস্পতিবার থেকে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর) চিলিতে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকায় নেইমারই ব্রাজিলের আশা-ভরসা প্রতীক।
লাতিন আমেরিকার সেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৭ সালে, দুঙ্গার অধীনে।
আবারো কোচ দুঙ্গার উপস্থিতি আশাবাদী করে তুলেছে প্রতিযোগিতার আটবারের চ্যাম্পিয়নদের। আর দুঙ্গা তাকিয়ে আছেন নেইমারের দিকে।
বার্সেলোনার হয়ে দুর্দান্ত একটা মৌসুম কাটিয়েছেন নেইমার। মৌসুমে ৩৯ গোল করে বার্সার ট্রেবল জয়ের অন্যতম নায়ক তিনি। দুঙ্গার বিশ্বাস, কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের জার্সি গায়ে জ্বলে উঠতে পারবেন তাঁর দলের প্রধান তারকা, ‘এ ব্যাপারে তেমন বিস্ময় নেই। তবে পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে, নেইমার যখন অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরে, তখনই যেন সে (সাফল্যের পথে) এক ধাপ এগিয়ে যায়। সে যত বেশি দায়িত্ব পায়, ততই যেন শাণিত হয়ে ওঠে। ইউরোপীয় ফুটবলে তো সে ইতিহাসই গড়ল।’
কোপা আমেরিকায় নেইমার অংশ নিচ্ছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করার আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এটা ভীষণ উদ্দীপ্ত করে তুলেছে দুঙ্গাকে, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গোল করা ও শিরোপা জেতা একজন খেলোয়াড়কে দলে পাওয়া ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের জন্যই ভালো ব্যাপার।’
কোপা আমেরিকার ‘সি’ গ্রুপে ব্রাজিলের তিন প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া, পেরু ও ভেনেজুয়েলা।