অবশেষে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’!

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে এই মাইলফলকের ধারে-কাছেও নেই। তবে ওয়ানডেতে অন্তত ৩০০টি জয়ের দেখা নিউজিল্যান্ড ছাড়া বাকি সাতটি টেস্ট দলই পেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অন্য ধরনের ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’টা করে ফেলল কিউইরাও। শুক্রবার রাতে রান-বন্যার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৩ রানে হারিয়ে ৩০০তম জয়ের দেখা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। প্রথম ম্যাচে ২১০ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
ওভালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রস টেলরের অপরাজিত শতক ও কেইন উইলিয়ামসনের শতকের কাছাকাছি ইনিংসের সুবাদে পাঁচ উইকেটে ৩৯৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডেতে ত্রয়োদশ শতক করা টেলর ১১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ৯৬ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসটি সাজানো ১০টি চার ও চারটি ছক্কায়। অন্যদিকে মাত্র সাত রানের জন্য সপ্তম শতকের দেখা পাননি উইলিয়ামসন। তাঁর ৮৮ বলে খেলা ৯৩ রানের আক্ষেপভরা ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও একটি ছক্কা। তৃতীয় উইকেটে টেলর-উইলিয়ামসনের ১২১ রানের জুটি বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছে অতিথিদের।
৩৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানের ছয়টি করে চার-ছক্কাসমৃদ্ধ ৪৭ বলে ৮৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর আদিল রশিদ ও লিয়াম প্লাঙ্কেটের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় স্বপ্নটা পূরণ হয়নি।
৪৪তম ওভারে বৃষ্টি এসে খেলা বন্ধ করার সময় ৩৭ বলে ৫৪ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। আবার খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ/লুইস পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ৪৬ ওভারে ৩৭৯ রান। প্লাঙ্কেট (৩০ বলে ৪৪) ও রশিদ (২৬ বলে ৩৪) অনেক চেষ্টা করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ৯ উইকেটে ৩৬৫ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
হেরে গেলেও একটা রেকর্ডের অংশীদার হওয়ার সান্ত্বনা পেতে পারে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৭৬৩ রান হয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো ওয়ানডেতে এটাই সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
রোববার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে হবে সাউথ্যাম্পটনের রোজ বোলে।