রেকর্ডগড়া জয়ে সমতায় ইংল্যান্ড

চতুর্থ ওয়ানডে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হতো ইংল্যান্ডকে। তবে ৩৫০ রানের কঠিন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি স্বাগতিকদের। অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যান ও জো রুটের দুটো চমৎকার শতক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় এনে দিয়েছে তাদের। ৫ ম্যাচের সিরিজে তাই এখন ২-২ সমতা। ওয়ানডেতে এটা চতুর্থ সর্বোচ্চ রান তাড়া করে পাওয়া জয়। আর ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ।
বুধবার নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে দিবা-রাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের পক্ষে কারো শতক নেই। তবে সবার মিলিত প্রচেষ্টা কিউইদের ৭ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দিয়েছে কিউইদের। আগের ম্যাচে ১১৮ রান করা কেইন উইলিয়ামসন আরেকটি শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৭০ বলে ১২টি চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করে আউট হয়ে গেছেন তিনি। অর্ধশতক করেছেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল (৫৩) আর গ্র্যান্ট এলিয়টও (৫৫*)। এদের সঙ্গে মিচেল স্যান্টনার (৪৪), রস টেইলর (৪২) ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (৩৫) প্রচেষ্টা সাড়ে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে গেছে বিশ্বকাপ রানার্সআপদের।
তবে এত রানকে পাত্তাই দেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। একাদশ ওভারেই দলকে ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন জেসন রয় (৩৮) ও অ্যালেক্স হেলস (৬৭)। দুই ওপেনার ১১ রানের ব্যবধানে বিদায় নিলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি ইংলিশদের। রুট আর মর্গ্যানের ১৯৮ রানের জুটির ওপরে ভর করে ৬ ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিক দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটাই ইংল্যান্ডের রেকর্ড তৃতীয় উইকেট জুটি।
অষ্টম ওয়ানডে শতকের দেখা পাওয়া মর্গ্যানের ৮২ বলে খেলা ১১৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস সাজানো ছিল ১২টি চার ও ৫টি ছক্কায়। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি। ৯৭ বলে ১৩টি চারে ১০৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন রুট। ওয়ানডেতে এটা তাঁর ষষ্ঠ শতক।
আগামী শনিবার চেস্টার-লি-স্ট্রিটে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে হবে।