ব্যাটিং ব্যর্থতা শুধরে জয়ের প্রত্যাশা বাংলাদেশের

স্পিনের চমক দিয়ে বোলিংটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ডি ভিলিয়ার্স, ডি কক, ডু প্লেসি, মিলার, ডুমিনিদের নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপকে বেঁধে রেখেছিল ১৪৮ রানের মধ্যে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মাশরাফি বাহিনীকে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে তাই ব্যাটিং ব্যর্থতাই থাকল আলোচনার কেন্দ্রে।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রোটিয়ারা প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা দিয়েছে স্বাগতিকদের। ব্যাট হাতে খুব বেশি দাপট দেখাতে না পারলেও, বল হাতে পেস-স্পিনের দারুণ সমন্বয়ে নাকাল করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই ব্যাটিং ব্যর্থতা শুধরে নেওয়ার প্রত্যয় করলেন ওপেনার সৌম্য সরকার, ‘প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বোলিং এবং ফিল্ডিংয়ে আমরা যতটা ভালো করেছি, সে অনুযায়ী ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। এটিকে ব্যর্থতা বলা যাবে না। আসলে ব্যাটিংয়ে আমরা সাকসেস হতে পারিনি।’
টেস্টের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সাফল্যের হার খুব বেশি না। সে তুলনায় ওয়ানডেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য দেখা যায় মাশরাফিদের। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টিই জিতেছিল লাল-সবুজের দল। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য ২০ ওভারের কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে আছে মাশরাফি বাহিনী। আর সফলতা পেলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে কিছু বাড়তি আত্মবিশ্বাসও সঙ্গী হবে স্বাগতিকদের।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।