বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে এবার নতুন বাধা

২০১৫ সালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। গত দুই বছরে সেসব শঙ্কা দূর হয়ে গেছে। আগামী আগস্টেই আবার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। কিন্তু এবারও সেই বহুল প্রতীক্ষিত সফরটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এবার অবশ্য বাংলাদেশের কোনো কারণে নয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অঙ্গনেই চলছে টালমাটাল অবস্থা। বেতন-ভাতা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে প্রায় স্থবির হতে বসেছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। দুইশরও বেশি ক্রিকেটার হারাতে চলেছেন চাকরি।
বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নতুন চুক্তি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মতবিরোধ চলছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটারদের মধ্যে। সেটা এবার ধারণ করেছে চরম আকার। আজ শুক্রবার ছিল নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের শেষ দিন। শেষমুহূর্তের নাটকীয়তায় কোনো একটা সমঝোতা হলেও হতে পারে, এমন আশা ছিল অনেকেরই। কিন্তু শেষপর্যন্ত যে তেমনটা হয়নি সেটা জানিয়েই দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ফলে আগামী শনিবার থেকে একরকম বেকারই হয়ে যাচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তি থেকে বাদ পড়ছেন দুইশরও বেশি ক্রিকেটার।
নতুন চুক্তিপত্রের কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ইউনিয়ন। নতুন চুক্তিতে বেতন কিছুটা বাড়ানো হলেও ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশের কিছুই দেওয়া হবে না ক্রিকেটারদের। এখানেই আপত্তি তুলেছেন ক্রিকেটাররা। অনেকেই ভাবছেন জাতীয় দল ছেড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রেও তাঁদের বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কারণ বিদেশের লিগগুলোতে খেলতে গেলে ক্রিকেটারদের নিতে হবে বোর্ডের অনুমতিপত্র।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের এই গোলযোগের ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে তাঁদের আগামী সফরগুলো। আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। এরপর যাওয়ার কথা ভারতে। আর এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ। শেষপর্যন্ত এগুলো আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে চলছে ঘোর অনিশ্চয়তা।
নতুন এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করার জন্য আগামী রোববার জরুরি সভায় বসবেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। সেখানে তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তার ওপর নির্ভর করবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অঙ্গনের ভবিষ্যৎ।