অভিষেকেই আলো ছড়িয়ে রাবাদার উচ্ছ্বাস

অভিষেকেই দারুণ সাফল্য। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই হ্যাটট্রিক, তারপর ছয় উইকেট নিয়ে ওয়ানডে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে এমন অভাবনীয় সাফল্যে দারুণ খুশি দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ পেসার কাগিসো রাবাদা।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রোটিয়াদের জয়ের নায়ক বলেন, ‘আজকের সাফলের পেছনে আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না। অবশ্য অভিষেক ম্যাচে ভালো করার আকাঙ্ক্ষা তো ছিলই। আমি শুধু আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলেছি। লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করেছি, তাই সাফল্য পেয়েছি।’
হ্যাটট্রিকের পর রেকর্ড গড়ার অনুভূতি জানতে চাইলে রাবাদার উচ্ছ্বাসভরা মন্তব্য, ‘এমন সাফল্য পেয়ে অবশ্যই ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে এই সাফল্য আমাকে আরো ভালো করার অনুপ্রেরণা জোগাবে। ভবিষ্যতে নিজের সামর্থ্যের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ছয়টির মধ্যে তামিম ইকবালের উইকেটকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখছেন ২০ বছর বয়সী এই পেসার, ‘সবগুলো উইকেট পেয়েই ভালো লেগেছে। তবে আলাদা করে বলতে হলে বলব, তামিম ইকবালের উইকেটটি ছিল সেরা। কারণ আমার সেই বলটা ছিল অসাধারণ। তাই তামিমের উইকেট সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছে আমাকে।’
রাবাদার দুর্দান্ত সাফল্যের সুবাদে প্রথম ওয়ানডেতে সহজ জয় পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলা দারুণ খুশি, ‘ভাবতেই পারিনি এত সহজে জিততে পারব। এমন উইকেটে আগে ব্যাট করে বড় স্কোর করা বেশ কঠিন। উইকেটটা বেশ টাফ ছিল।’
জয়ের নায়ক রাবাদাকে নিয়েও আমলার কণ্ঠে উল্লাস, ‘রাবাদা অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। অভিষেকে একজন বোলারের ছয় উইকেট নেওয়া সোজা কথা নয়। তার এই সাফল্য দলকে সহজ জয় এনে দিতে বড় অবদান রেখেছে। আশা করি ভবিষ্যতে রাবাদা অনেক দূর যাবে।’