বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই

প্রথমে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, তারপর প্রথম ওয়ানডে-কোনো ম্যাচেই তেমন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। টানা তিন হারে মাশরাফির দল ভীষণ চাপের মধ্যে এখন। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাঁচাতে রোববার জিততেই হবে। এই কঠিন সমীকরণ মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে দুপুর ৩টায়।
বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে অসাধারণ সাফল্য পাওয়া বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এখন মানসিকভাবে বেশ নড়বড়ে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিততে হলে সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামতে হবে মাশরাফির দলকে। কিন্তু প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা বলেই কাজটা বেশ কঠিন। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যর্থতার ইতিহাস বাংলাদেশকে হতাশ করবেই। এর আগে মুখোমুখি হওয়া ১৫টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র একবারই প্রোটিয়াদের হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ, ২০০৭ বিশ্বকাপে ৬৭ রানে।
টানা তিন ম্যাচের হতাশাজনক ব্যাটিং বাংলাদেশের জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রোটিয়াদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বড় জুটি গড়ে তুলতে পারেননি। ব্যাটসম্যানরাও তেমন বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্যাটসম্যানদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে ভীষণ সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।
প্রথম ওয়ানডের আগে লেগস্পিনার ইমরান তাহিরকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশ। অথচ ম্যাচে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। তরুণ পেসার কাগিসো রাবাদার তোপে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। তাই অভিষেকে হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট নিয়ে হৈচৈ ফেলে দেওয়া রাবাদাকে সামলাতে বাড়তি পরিকল্পনা নিতে হচ্ছে সাকিব-মুশফিকদের।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ মুশফিকুর রহিমের ইদানীং হতাশাজনক পারফরম্যান্স। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও তেমন সাফল্য পাচ্ছেন না। বোলিং-ফিল্ডিংয়ের অবস্থাও তেমন ভালো নয়।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অবশ্য বিশ্বাস, দুর্দশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে, ‘এটা সত্যি যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাটিং-বোলিং কোনো বিভাগেই আমরা ভালো করতে পারছি না। তবে এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। আশা করি আমরা তা পারব।’