দিনটা ছিল আমাদের : মাশরাফি

দুটি টি-টোয়েন্টির পর প্রথম ওয়ানডেতেও পরাজয়ের যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। তবে সব হতাশা পেছনে ফেলে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে মাশরাফির দল। এই সাফল্যে দারুণ খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক। খেলা শেষে সতীর্থদের প্রশংসায় মেতে উঠলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘টানা তিন ম্যাচ হেরে যাওয়ায় আমাদের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর তাড়না কাজ করছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে এভাবে হারানোর কথা কল্পনাও করতে পারিনি। আসলে দিনটা আমাদের ছিল। তাই এই সাফল্য পেয়েছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা কোনো ম্যাচে হেরে গেলেই ‘চোকার্স’ শব্দের উচ্চারণ অবধারিত। সংবাদ সম্মেলনেও প্রোটিয়ারা ‘চোকার্স’ কি না এমন প্রসঙ্গ উঠল। মাশরাফি অবশ্য শব্দটা উড়িয়ে দিলেন, ‘না, আমি দক্ষিণ আফ্রিকানদের চোকার্স মনে করি না। আর চোকার্স বলে কাউকে আঘাত দেওয়ার পক্ষেও নই। তারা যে বড় দল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একটা জাতিকে এসব বলে আঘাত দেওয়া ঠিক নয়। হয়তো দিনটা তাদের ছিল না বলেই হেরেছে।’
এই অপ্রিয় প্রসঙ্গ সরিয়ে রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং সৌম্য সরকার আর মাহমুদউল্লাহর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘সৌম্যর ইনিংসটা এককথায় অসাধারণ। তার কাছ থেকে এমন ইনিংসই আশা করেছিলাম। আর মাহমুদউল্লাহ চোট থেকে ফিরেই প্রমাণ করেছে, দলের প্রয়োজনে জ্বলে ওঠার সামর্থ্য আছে তার।’
বোলারদেরও প্রশংসা করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘বোলারদের নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬২ রানে বেঁধে ফেলা সম্ভব হয়েছে। তাই ব্যাটসম্যানদের জন্যও কাজটা সহজ হয়েছে।’
টানা তিন ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জিং ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘প্রতিটি কাজই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং। কোনো কিছুকে আলাদাভাবে চ্যালেঞ্জিং মনে করি না। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, আমার এক ছেলে ও এক মেয়েকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলা।’