ফুটবলার হওয়ার কথা ভাবেননি রোনালদো!

তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবলার। দুনিয়াজুড়ে তাঁর অজস্র ভক্ত-সমর্থক। অথচ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নাকি ছেলেবেলায় ফুটবলার হওয়ার কথা ভাবেননি! শুধু ভালো লাগা থেকে যার সঙ্গে সখ্য গড়ে উঠেছিল, সেই ফুটবলই এখন পর্তুগিজ তারকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সম্প্রতি হার্বাললাইফ নামে একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানিয়েছেন ফুটবলার হয়ে ওঠার গোড়ার কথা।
১৯৮৫ সালে পর্তুগালের ছোট্ট শহর ফুশালে রোনালদোর জন্ম। আর দশটা শিশুর মতো ছেলেবেলায় বাড়ির পাশে রাস্তায় ফুটবল খেলা শুরু। কিন্তু নিজের ফুটবল-প্রতিভা সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণাই ছিল না রিয়াল মাদ্রিদ তারকার।
সেসব দিন নিয়ে গত দুবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের স্মৃতিচারণ, ‘আমাদের পরিবারের সবাই ফুটবল ভালোবাসে। আমার একদিনের কথা মনে আছে। সেদিন রাস্তায় ফুটবল খেলছিলাম। তখন আমার বাবা বলেছিলেন, তুমি কেন ক্লাবে গিয়ে খেলছ না? আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ, তাই তো। কেন খেলছি না? তখন থেকেই আমি গুরুত্বের সঙ্গে খেলা শুরু করলাম।’
১৯৯২ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে রোনালদো পা রাখেন এলাকার ক্লাব আনদোরিনিয়াতে। এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার তখন অবশ্য বুঝতেও পারেননি এ সিদ্ধান্ত তাঁকে কোথায় নিয়ে যাবে, ‘আমি প্রতিদিন অনুশীলনে যেতাম।
দলের সঙ্গী হওয়া দারুণ উপভোগ করতাম। বাবা সব সময় আমার সঙ্গে থাকতেন। সেই দিনগুলোতে আমার কখনোই মনে হয়নি, আমি অন্য বাচ্চাদের চেয়ে আলাদা কিছু। আমি কখনোই ভাবিনি, পেশাদার ফুটবলার হব বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ বা স্পোর্টিং লিসবনে খেলতে যাব। সে সময় আমি শুধু খেলাটাই উপভোগ করতাম। আমার মধ্যে যে প্রতিভা আছে, তেমন কোনো চিন্তাও তখন মাথায় আসেনি। সেসব দিনে এমন কোনো কথা কল্পনাও করতাম না।’
তবে কয়েক বছর আনদোরিনিয়াতে থাকার পর রোনালদোর চিন্তাভাবনায় বিশাল পরিবর্তন আসে। তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের মনে জেগে ওঠে অন্য বাসনা, ‘তিন বা চার বছর কেটে যাওয়ার পর আমি ভাবতে থাকি, আমি এই ক্লাবে খেলতে চাই। তখন থেকে সব ম্যাচ দেখা শুরু করলাম। ক্লাবের জার্সি পরার স্বপ্নও দেখতাম তখন।’
সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের সবচেয়ে বড় ভরসা, কোটি কোটি ফুটবল-ভক্তের হৃদয়ের মণিকোঠায়।