স্কয়ার ড্রাইভ
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয়
শুরুতে মাশরাফি-রুবেলের তোপে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়া আফগানিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। প্রয়োজনের মুহূর্তে বল হাতে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশের বোলাররা। বল হাতে মাশরাফি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাতে অন্যরাও উজ্জীবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাট-বলে ‘বেটার’ ক্রিকেট খেলেই এই জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি-সাকিবরা।
মূলত বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। বাংলাদেশের রয়েছে টেস্ট এবং ওয়ানডে খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। আফগানিস্তান সে তুলনায় অনেকখানি পিছিয়ে। তাই বাংলাদেশকে মোটেও অস্বস্তিতে ফেলতে পারেনি তারা। শুধু ম্যাচে নয়, প্রতিটি বিভাগেই আফগানরা হেরেছে বাংলাদেশের কাছে।
ব্যাট হাতে সাকিব-মুশফিক যেমন অসাধারণ খেলেছে, তেমনি বোলাররাও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। সাকিবের একটি ক্যাচ মিস বাদ দিলে ফিল্ডিংও খারাপ হয়নি। তাই আমি বলব সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ দলের ওপর থেকে একটা বড় চাপ নেমে গেছে। জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করায় খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। এই প্রেরণা পরের ম্যাচগুলোতে ভালোই কাজে আসবে।
সাকিব-মুশফিকের ১১৪ রানের অসাধারণ জুটির সৌজন্যে প্রতিপক্ষকে একটা ভালো টার্গেট দেওয়া সম্ভব হয়েছে। দুজনই দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। এককথায় অসাধারণ ব্যাটিং। তাদের কাছ থেকে এমনটাই আশা করেছিলাম। দলের বিপদের সময় দুজনের ইনিংস দুটো সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
ভালো সংগ্রহ পেয়ে যাওয়ায় বোলাররাও চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পেরেছে। বিশেষ করে মাশরাফি প্রথম স্পেলে অসাধারণ বোলিং করেছে। বোলাররা প্রথম পাওয়ার-প্লে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে বলে পরবর্তী সময়ে সবকিছু ঠিক-ঠাক হয়েছে।
কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংয়ের পরিকল্পনাও ভালো ছিল। বিশেষ করে বোলিং পরিকল্পনা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে বলেই আফগান ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের জয়টা অনেক বড় ব্যবধানে এসেছে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।