সালাহর বীরত্বে সেমিফাইনালে লিভারপুল
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য ম্যানচেস্টার সিটির সামনে ছিল কঠিন সমীকরণ। পেপ গার্দিওলার দলের সামনে একটাই পথ খোলা ছিল, ন্যূনতম চার গোল দিয়ে জিততে হবে এবং কোনো গোল হজম করা যাবে না। এমন কঠিন এবং অসম্ভব সমীকরণকে সঙ্গী করে গতকাল রাতে ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানসিটি।
প্রথম লেগ ০-৩ গোলে হেরে সেমিতে ওঠার আশা মিইয়ে গেলেও সিটির বর্তমান ফর্ম আশা জাগাচ্ছিল তাদের। কিন্তু গার্দিওলার দলকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ ২-১ গোলে জিতে সেমিতে উঠে গেল ইয়োর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথাতেই সিটিকে গোল করে এগিয়ে দেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। রহিম স্টার্লিংয়ের ক্রস থেকে লিভারপুলের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন জেসুস। সিটির ম্যাচে ফেরার জন্য আরো দরকার ছিল দুই গোল। টানা আক্রমণে তারা দিশেহারা করে ফেলে লিভারপুল ডিফেন্সকে। ম্যাচের ১৬ মিনিটে ওটামেন্ডিকে বাজেভাবে ফাউল করেন সাদিও মানে। তাতেই দুদলের খেলোয়াড়দের ভেতর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গণ্ডগোল বাধিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন সিটির গোলকিপার এডারসন ও লিভারপুলের মানে।
ম্যাচের ৩০, ৩৮ ও ৪২ মিনিটে বার্নারদো সিলভার শটগুলো মিস না হলে সিটির ফলটা অন্য রকম হতে পারত। ৪৩ মিনিটে সিটির সানে গোল করলেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় গার্দিওলার দল।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের নেশায় মরিয়া হয়ে পড়ে সিটি। কিন্তু গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। উল্টো ৫৯ মিনিটে সিটির সেমিতে ওঠার শেষ আশাটুকুও শেষ করে দেন মোহামেদ সালাহ। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ৫৬ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সালাহ। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর অষ্টম গোল। সেমিতে যেতে হলে তখন সিটির সামনে আরো বড় চ্যালেঞ্জ। করতে হবে চার গোল।
এমন অবস্থায়ও আক্রমণ চালিয়ে যায় গার্দিওলার দল। কিন্তু এবার ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ফিরমিনো সিটির কফিনে পেরেক ঠুকে দেন। শেষের দিকে উভয় দল আরো কয়েকটি আক্রমণ করলেও কেউই গোলের দেখা পায়নি। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই সেমি নিশ্চিত করে মোহামেদ সালাহর দল।