তোপের মুখে রিয়ালকে পেনাল্টি দেওয়া রেফারি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/04/13/photo-1523607529.jpg)
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের জায়গায় থাকতে পারত জুভেন্টাসের নাম। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তিনটি অ্যাওয়ে গোলের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যাবে—এমন কথা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি জুভরা। কিন্তু রেফারির পেনাল্টির বাঁশি তাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে সেমিতে যাওয়ার পথ একেবারে রুদ্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জুভ খেলোয়াড়রা পেনাল্টির বিরোধিতা করেন। এবার অলিভারের সহকর্মী রেফারিরাও এই পেনাল্টির বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন।
বুধবার রাতে বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগ ম্যাচে বুফনের জুভান্টাসই ছিল ফেভারিট। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ম্যাচের দখলদারিত্ব যখন তাদের হাতে, ঠিক সে সময়ে ম্যাচের ৯৩ মিনিটে রেফারির পেনাল্টির বাঁশি সব ওলটপালট করে দেয়। পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে দলকে সেমির টিকেট পাইয়ে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন রেফারি মাইকেল অলিভারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
অলিভারের অনেক পেশাদার সহকর্মীই এই পেনাল্টির ব্যাপারে মন্তব্য করেন। সাবেক লা লিগা রেফারি আনডুজার অলিভার এই পেনাল্টির ব্যাপারে বলেন, ‘ওই ম্যাচে পেনাল্টি দেওয়ার মতো যথেষ্ট কারণ সেখানে ঘটেনি।’
এডোয়ার্দো গঞ্জালেস বলেন, ‘ম্যাচের ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি সব সময় বিতর্কের সৃষ্টি করে, সেটা আবার যদি হয় পুরো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক, তবে তো কথাই নেই।’
ইউরো ২০০৪ মৌসুমের রেফারি রাফা বলেন, ‘আমি অনুধাবন করতে পারছি, ইনজুরি সময়ে পেনাল্টির বাঁশি রিয়াল মাদ্রিদের বাইরের সমর্থকদের কতটা কষ্টে ভুগিয়েছে। কিন্তু সত্যিটা হলো, সেটা পেনাল্টির সিদ্ধান্তই ছিল।’
অলিভারের স্বদেশী গ্রাহাম পল বলেন, ‘অলিভারের সিদ্ধান্তটা সাহসী ছিল। তিনি এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরও ঠান্ডা মাথায় ছিলেন এবং আক্রমণাত্মক আচরণের জন্য সঠিকভাবেই বুফনকে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন।’