স্কয়ার ড্রাইভ
কঠিন পরীক্ষার সামনে ইংল্যান্ড
শুক্রবার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। দুই দলের কাছে ম্যাচটির তাৎপর্য ভিন্ন রকম। জিতলে নিউজিল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে অনেকখানি এগিয়ে যাবে। আর হেরে গেলে ইংল্যান্ডের সামনে শেষ আটের পথ কঠিন হয়ে পড়বে।
ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড প্রায় সমান শক্তির দল। এই ম্যাচে টস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যে দল টস জিতে আগে ব্যাট করবে, জয়ের সম্ভাবনাও তদেরই বেশি। ওয়েলিংটনের উইকেটে একটু বড় রান চেজ করে জেতা খুব কঠিন। লক্ষ্য ৩০০-এর ওপরে হলে তো ভীষণ দুরূহ।
নিজেদের মাটিতে খেলছে বলে নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা এগিয়ে রাখতেই হবে। তা ছাড়া প্রথম দুই ম্যাচ জিতে তারা এখন অনেক নির্ভার। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের মনোবলে চিড় ধরাই স্বাভাবিক।
ইংল্যান্ড দলটা অবশ্য খারাপ নয়। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা সহ-স্বাগতিকদের হারানো খুবই কঠিন হবে তাদের জন্য। কিউইদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ যেকোনো দলকে আতঙ্কিত করতে পারে। বিশেষ করে তাদের পেস অ্যাটাক দুর্দান্ত। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপও তাদের পেসারদের সামনে হিমশিম খেয়েছে।
তাই বলে আমি বলছি না যে শুক্রবার ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরাও খারাপ করবে। ইয়ান বেল, ওয়েন মরগান ও জেমস টেলরের মতো ভালো ব্যাটসম্যান আছে তাদের দলে। এই তিনজনের দলের বিপদের সময় জ্বলে ওঠার সামর্থ্য আছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অবশ্য টেলর ছাড়া আর কেউ তেমন ভালো করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ তাই তাদের ব্যাটসম্যানদের অনেক দৃঢ়তা নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।
আগের ম্যাচে ইংলিশ বোলাররাও তেমন ভালো করতে পারেনি। কিউইদের হারাতে হলে তাদের অনেক নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে হবে। কারণ নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা এখন ভালো ফর্মে আছে।
এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জিততে হলে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং প্রত্যেক বিভাগেই সেরাটা ঢেলে দিতে হবে। তাহলেই শুধু তাদের পক্ষে জেতা সম্ভব।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।