প্রায় এক যুগ পর ফাইনালের স্বপ্ন-পূরণ

অ্যাথেন্স থেকে কিয়েভ, অলিম্পিক স্টেডিয়াম থেকে অলিম্পিজকি ন্যাশনাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সের দরজা। রাফায়েল বেনিতেজ থেকে জার্গেন ক্লপ কিংবা স্টিফেন জেরার্ড থেকে মোহামেদ সালাহ। ১১ বছরের অপেক্ষা শেষে আবারও ফাইনালে লিভারপুল।
শেষ ২০০৭ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) ক্লাবটি। অবশ্য এসি মিলানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরে ঘরে তোলা হয়নি নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা। যদিও এই মিলানকে পরাজিত করেই ২০০৪-০৫ মৌসুমে শেষবার লিভারপুল উঁচিয়ে ধরেছিল ইউরোপ সেরার শিরোপা। দুই বারই দলের কোচ ছিলেন বেনিতেজই।
রোমার মাঠে বৃহস্পতিবার রাতে অবশ্য হারতে হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ীদের। দ্বিতীয় লেগে ৪-২ গোলে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পরাজিত হলেও প্রথম লেগে এগিয়ে থাকা গোলের (৫-২) সুবাদে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে তারাই। মজার ব্যাপার, এই লিভারপুলই শেষ দুই মৌসুমে (২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭) নামতে পারেনি চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে।
ব্র্যান্ডন রজার্সের হাত বদলে ২০১৫ সালে ক্লপের হাতে এসেছিল লিভারপুলের দায়িত্ব। তাঁর অধীনে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ মিশনে ব্যর্থ হয়ে পরের দুই আসর অংশই নিতে পারেনি বর্তমানে ইপিএল পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা দলটি। এবারের মৌসুমে ফিরেই সবাইকে চমকে দিয়ে তাঁরাই কি না টিকিট পেল ফাইনালের!
শুধু কোচ ক্লপই নয়, ক্লাবটির ফরোয়ার্ড সালাহ নিজেও রেখেছেন অবদান। বলতে গেলে পুরো বছরটাই নিজের রঙে রঙিন করে রেখেছেন মিসরীয় এই ফুটবলার। ইউরোপ সেরার আসরে এখন পর্যন্ত নেমেছেন ১২ ম্যাচে। করেছেন ১০ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন পাঁচ গোল।
কিয়েভের মাঠের ফাইনালে একপাশে মাদ্রিদের চেষ্টাটা থাকবে শিরোপাটা নিজেদের ঘরে রেখে দিয়ে টানা চতুর্থবার ইউরোপ সেরার মুকুটটা মাথায় পরতে। অন্যদিকে লিভারপুল চাইবে ১৩ বছর পর নিজেদের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি ক্যাবিনেটে সাজিয়ে রাখতে। সব কিছুরই উত্তর জানা যাবে, তবে অপেক্ষা করতে হবে ২৬ মের ফাইনাল পর্যন্ত।