বিশ্বকাপ ১৯৮২
স্পেনের মাঠে ইতালির শ্রেষ্ঠত্ব
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। আর মাত্র ১৮ দিন পরই পুরো বিশ্ব মেতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের উন্মাদনায়, যার আঁচটা পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে এনটিভি অনলাইনও নিয়ে এসেছে বিশেষ আয়োজন। আজ পাঠকদের সামনে হাজির করা হচ্ছে একাদশ বিশ্বকাপের গল্প। ১৯৮২ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের একাদশ আসরের অনেক অজানা কথা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন :
অনেকদিন ধরেই বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার চেষ্টা ছিল আজকের ফুটবল বিশ্ব শাসন করা স্পেনের। শেষ পর্যন্ত ১৯৮২ সালে সে দেশে গড়ায় বিশ্বকাপের প্রথম আসর। প্রায় ৪৪ বছর পর সে আসরে ফের বিশ্বসেরার মুকুট মাথায় পরে ইতালি।
স্পেনের মোট ১৪ শহরের ১৭টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ১২তম আসরের মাসকট ছিল ‘নারানজিতো’ নামের একটি কমলা-লেবু, যেটা কি না স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ফল। ২৯ দিন ধরে স্পেনের মাঠে চলে ৫২ ম্যাচের লড়াই।
১৯৮২ বিশ্বকাপের বল ‘ট্যাঙ্গো ইসপানা’।
এ বিশ্বকাপেই প্রথম ১৬ দল থেকে বেড়ে ২৪ দল নামে বিশ্বসেরার লড়াইয়ে। এশিয়া ও ওশেনিয়া মহাদেশ একটি, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকা থেকে দুটি, লাতিন আমেরিকা থেকে চারটি ও ইউরোপ থেকে ১৪টি দেশে অংশ নেয় বিশ্বকাপের ১২তম আসরে।
ছয়টি গ্রুপে চারটি করে দল নিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের লড়াই। প্রতি গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন আর রানার্সআপরা জায়গা পায় দ্বিতীয় রাউন্ডে। দ্বিতীয় পর্বের টিকেট পাওয়া ১২ দলকে আবার ভাগ করা হয় চার গ্রুপে। সেখান থেকে সেমিফাইনালের টিকেট পায় চার দল।
স্পেন বিশ্বকাপের মাসকট ‘নারানজিতো’।
পোল্যান্ড, ইতালি, পশ্চিম জার্মানি আর ফ্রান্স উঠে যায় সেরা চারে। তবে পোল্যান্ডকে হারিয়ে ইতালি ও ফ্রান্সকে পরাজিত করে জার্মানি টিকেট পায় ফাইনালের। ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেয়ে তৃতীয় হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে পোল্যান্ড।
ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ স্যান্টিয়াগো বার্নাবুর ফাইনালে নামে ইতালি ও পশ্চিম জার্মানি। ৩-১ ব্যবধানে সে ম্যাচে জিতে নিজেদের তৃতীয় শিরোপার দেখা পায় ইতালি।