বিশ্বকাপ ২০১০
ম্যান্ডেলার দেশে স্পেনের ইতিহাস
দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। আর মাত্র ১১ দিন পরই পুরো বিশ্ব মেতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের উন্মাদনায়, যার আঁচটা পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে এনটিভি অনলাইনও নিয়ে এসেছে বিশেষ আয়োজন। আজ পাঠকদের সামনে হাজির করা হচ্ছে ১৯তম বিশ্বকাপের গল্প। ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের ১৯তম আসরের অনেক অজানা কথা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন :
আফ্রিকায় সেবার বসেছিল বিশ্বকাপের প্রথম আসর। নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপের ১৯তম আসরে স্পেন মোচন করেছিল ‘চোকার’ তকমা, উঁচিয়ে ধরেছিল তাদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। পুরো আসরে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েও নেদারল্যান্ডসকে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল রানার্সআপ হয়েই।
২০১০ বিশ্বকাপের বল ‘জাবুলানি’।
দক্ষিণ আফ্রিকার মোট নয়টি শহরের ১০টি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের ১৯তম আসরের মাসকট ছিল ‘জাকুমি’ নামের একটি আফ্রিকান চিতাবাঘ। মোট এক মাস জার্মানদের মাঠে চলে ৬৪ ম্যাচের লড়াই।
ওশেনিয়া মহাদেশ থেকে একটি, এশিয়া থেকে চারটি, উত্তর আমেরিকা থেকে তিনটি, আফ্রিকা মহাদেশ থেকে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আরো পাঁচটি দল, লাতিন আমেরিকা থেকে পাঁচটি ও ইউরোপ থেকে ১৩টি দেশ অংশ নেয় ১৭তম বিশ্বকাপে। আটটি গ্রুপে চারটি করে দল নিয়ে শুরু হয় প্রথম পর্বের লড়াই। সেরা ষোলোর লড়াই শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় আট দল।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের মাসকট ‘জাকুমি’।
কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই শেষে উরুগুয়ে, জার্মানি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডস যায় সেমিফাইনালে। সেখান থেকে জার্মানিকে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস ও উরুগুয়েকে পরাজিত করে স্পেন টিকেট পায় ফাইনালের। জার্মানি ৩-২ ব্যবধানে উরুগুয়ে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করে তৃতীয় অবস্থানে থেকে।
জোহানেসবার্গ শহরের সকার সিটি স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াইয়ে নামে স্পেন ও নেদারল্যান্ডস। নিজেদের ইতিহাসে এর আগে এই দুই দলের কেউই জেতেনি শিরোপা। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার অতিরিক্ত সময়ের গোলে আরাধ্য ট্রফির দেখা পায় স্পেন।