জয় দিয়ে শুরু ফ্রান্সের
জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করল ১৯৯৮ সালের শিরোপাজয়ী ফ্রান্স। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়টা খুব একটা সহজে আসেনি ফ্রান্সের। জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়েই। অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান ও পল পগবার গোলে ফ্রান্স জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে কাটার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল দুই দলই। তবে প্রথম সাফল্যটা পেয়ে যায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপের আসরে প্রথমবারের মতো ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পেনাল্টি পেয়ে যায় ফ্রান্স।
৫৭ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি বক্সের মধ্যে আন্তেনিও গ্রিজম্যানকে ফাউল করেন জশ রিসডন। সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি। কিন্তু সেটা ফাউল ছিল কিনা, তা বোঝার জন্য রেফারি নিয়েছিলেন ভিএআরের সাহায্য। শেষপর্যন্ত ফাউল নিশ্চিত হওয়ার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন মাঠের রেফারি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম সেই ভিআর-এর সাহায্যে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে কোনো ভুল করেননি গ্রিজম্যান। নিজের নামটাও সেই সুবাদে তুলে ফেলেছেন ইতিহাসের পাতায়।
তবে এগিয়ে থাকার সুখটা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি ফ্রান্স। পরের মিনিটেই নিজেদের পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন স্যামুয়েল উমতিতি। সেখান থেকে পেনাল্টি পেয়ে গোল করেন অস্ট্রেলিয়ার মাইল জেডিনাক। খেলায় ফেরে ১-১ গোলের সমতা।
৮০ মিনিট পর্যন্ত ছিল এই স্কোর। ৮১ মিনিটে দুর্দান্ত এক শট থেকে গোল করেন পল পগবা। এরপরে আর কোনো গোল করতে পারেনি কোনো দলই। শেষপর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।
এর আগে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে গোলশূন্যভাবেই। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-ই চালিয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে ৫২ শতাংশ সময় বলের দখল ছিল ফ্রান্সের কাছে। আক্রমণ শানানোর ক্ষেত্রে অবশ্য আরো একটু বেশি এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে মোট চারবার শট নিতে পেরেছিলেন ফরাসি ফুটবলাররা। অন্যদিকে দুইবার গোলের চেষ্টা করলেও গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।