নেইমারের আলো কেড়ে নিচ্ছেন কুতিনহো
ব্রাজিলের ভরসার ব্যাপারটা এলেই প্রথমে নাম আসবে নেইমার ডি সিলভার। গত বিশ্বকাপের মতো এবারও শুরুতে বেশিরভাগ আলোই ছিল নেইমারের ওপর। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ব্রাজিলের যে ভরাডুবি, সেই ম্যাচেও নেইমারের অনুপস্থিতির কথা ভেবে আফসোস করেন ব্রাজিল সমর্থকরা। নেইমার থাকলে ৭-১ গোলের ভরাডুবি হতো না বলেই বিশ্বাস সমর্থকদের।
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপেও ব্রাজিলের ভরসার প্রতীক ছিল নেইমার। তবে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) এই তারকাকে ছাপিয়ে ব্রাজিল দলে সব আলো কেড়ে নিচ্ছেন বার্সেলোনা তারকা ফিলিপ কুতিনহো।
নেইমার-কুতিনহো দলবদল করেছেন কাছাকাছি সময়েই। নেইমার বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন গত মৌসুমে। এই মৌসুমে লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় এসেছেন কুতিনহো। ক্লাবেই খুব কম সময়ে কুতিনহো নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপে।
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই সব আলো কেড়ে নিয়েছেন কুতিনহো। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ে একমাত্র গোল পেয়েছেন কুতিনহো। দ্বিতীয় ম্যাচেও কম শক্তিশালী কোস্টারিকার বিপক্ষে ইনজুরি সময়ে দলের পক্ষে প্রথম গোল করেন তিনি। অবশ্য ওই ম্যাচে দলের পক্ষে জয়সূচক গোল এসেছে নেইমারের পা থেকেই। প্রথম দুই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে মিডফিল্ডার কুতিনহোর হাতে। গতকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রথম গোলেও অবদান রেখেছেন এই ২৬ বছর বয়সী তারকা। পাউলিনহোর অসাধারণ গোলের অ্যাসিস্ট করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তিন ম্যাচেই দারুণ পারফর্ম করে এখন প্রশংসায় নেইমারকে ছাড়িয়ে গেছেন কুতিনহো।
কুতিনহোর প্রশংসা হলেও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না তিনি। এই তারকা বলেন, ‘আমি কখনই আমাকে নিয়ে ভাবতে চাই না। এসব প্রশংসায় আমি আত্মতুষ্টিতে ভুগি না। আমি শুধু নিজেকে তৈরি করছি এবং ব্রাজিলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করছি। বিশ্বসেরা হওয়ার কথা বলছেন? ওটা বিবেচনা করার দায়ভার সমর্থকদের ওপরই ছেড়ে দিলাম।’