এক রাতেই মেসি-রোনালদোর পতন
দুজনের মধ্যে নিরন্তর চলে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াই। কখনো লিওনেল মেসি এগিয়ে যান তো কখনো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গত ১০ বছর ধরে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা ঘুরছে তাঁদেরই হাতে। কে সেরা, সে বিষয়ে এখনো বিতর্ক চললেও মেসি আর রোনালদো যে এ সময়ের সেরা দুই খেলোয়াড়, সে বিষয়ে হয়তো বিতর্ক করতে যাবেন না কেউই।
এ সময়ের সেরা এই দুই ফুটবলারকে অদ্ভুতভাবে এক সুতোয় গেঁথেছেন ফুটবল বিধাতা। এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে, একই দিনে পতন হয়েছে এ দুই নক্ষত্রের। শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আর উরুগুয়ের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে। একই রাতে হারের হতাশা নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে হয়েছে মেসি ও রোনালদোকে।
এ সময়ের সেরা এই দুই ফুটবলারই খুব সম্ভবত খেলে ফেলেছেন তাঁদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ। ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো যে আর আগামী বিশ্বকাপে খেলবেন না, তা অনেকটাই নিশ্চিত। ৩১ বছর বয়সী মেসিও হয়তো থাকবেন রোনালদোরই কাতারে। সেই শেষ বিশ্বকাপে খুব বেশি আলো ছড়াতে পারলেন না এ দুই তারকা।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তবুও দেখিয়েছেন দারুণ একক নৈপুণ্য। করেছেন হ্যাটট্রিকসহ চারটি গোল। গড়েছেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড। পুসকাসকে ছাড়িয়ে তিনিই এখন ইউরোপের সবচেয়ে বেশি গোলদাতা। অন্যদিকে মেসি এতটাও জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রথম ম্যাচেই করেছিলেন পেনাল্টি মিস। চার ম্যাচে করতে পেরেছেন মাত্র একটি গোল।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে রোনালদোর চেয়েও মেসির আক্ষেপটা বেশি। রোনালদো তবুও ২০১৬ সালে পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু মেসি সেটাও পারেননি। টানা দুবার কোপা আমেরিকার ফাইনাল ও মাঝখানে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল আর্জেন্টিনার অধিনায়ককে। আর এবারের বিশ্বকাপটা আরো হতাশা নিয়ে শেষ করলেন মেসি। বিদায় নিলেন শেষ ষোলো থেকেই।