ব্রাজিলকে টপকাতে পারবে বেলজিয়ামের স্বর্ণালি প্রজন্ম?
এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ রাত ১২টায়। ব্রাজিল মুখোমুখি হচ্ছে বেলজিয়ামের। ব্রাজিল তো বরাবরই বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসেবে অংশ নেয়। তবে এবার ফুটবল বিশ্বের বাড়তি নজর থাকছে বেলজিয়ামের স্বর্ণালি প্রজন্মের দিকে। একসঙ্গে এতগুলো প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে আগে খুব কম সময়ই বিশ্বকাপের আসরে অংশ নিতে দেখা গেছে বেলজিয়ামকে। ফলে এবারই সেই মুহূর্তের সদ্ব্যবহার করার মোক্ষম সুযোগ বেলজিয়ামের সামনে।
১৯৮৬ সালের পর এবারের দলটাকেই ধরা হচ্ছে বেলজিয়ামের সেরা দল হিসেবে। থিবো কর্তোয়া, ভিনসেন্ট কোম্পানি, ইডেন হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রুয়েন, ফেলাইনি, লুকাকুর মতো তারকা সব ফুটবলারকে নিয়ে এবারের দল সাজিয়েছে বেলজিয়াম। আর সবাই আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। এমন সমন্বয় আগামী আসরে আর দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে। ফলে ডার্ক হর্স বেলজিয়ামের জন্য এবারই মোক্ষম সুযোগ বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরার।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা নৈপুণ্যটা দেখিয়েছিল বেলজিয়াম। সেবার চলে গিয়েছিল সেমিফাইনাল পর্যন্ত। কিন্তু শেষ চারের লড়াইয়ে তাদের থেমে যেতে হয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে। একাই দুটি গোল করে বেলজিয়ামকে হারিয়ে দেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সেবারের বিশ্বকাপটাও শেষ পর্যন্ত জিতেছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা।
২০০৬ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ারই সুযোগ পায়নি বেলজিয়াম। ২০০২ সালের পর আবার তারা বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরেছিল ২০১৪ সালের গত বিশ্বকাপে। সেবারও তাদের যাত্রা থেমেছিল আর্জেন্টিনার কাছে হেরে। কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার সেই হতাশা দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টাই নিশ্চয়ই করবেন হ্যাজার্ড-ফেলাইনিরা।
তবে সেই কাজটা মোটেই সহজ হবে না। ব্রাজিলও বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে দেখিয়েছে উন্নতির ছাপ। ২০০২ সালের পর ব্রাজিলের বর্তমান দলটাকেও ধরা হচ্ছে সেরা হিসেবে। নেইমার-মার্সেলো-কুতিনহোদের নিয়ে গড়া ব্রাজিল দলটাও শিরোপা জয়ের যোগ্য দাবিদার। ফলে শেষ পর্যন্ত জমজমাট একটা লড়াই-ই দেখা যাবে বলে অনুমান ফুটবলপ্রেমীদের।