বিশ্বকাপ এখন শুধুই ইউরোপের
গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে নকআউট পর্বে আসতে পারেনি আফ্রিকার কোনো দল। এশিয়ার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে শেষ ষোলোতে এসেছিল জাপান। তারাও ঝড়ে গেছে সেখান থেকেই। বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে।
এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ছিল ইউরোপেরই আধিপত্য। আটটি দলের মধ্যে ছয়টিই ছিল ইউরোপের। লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধি হিসেবে ছিল উরুগুয়ে ও ব্রাজিল। গতকাল প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে বিদায় নেয় ফ্রান্সের কাছে হেরে। কিছু সময়ের জন্য ব্রাজিলই ছিল লাতিন আমেরিকার নিঃসঙ্গ যোদ্ধা। কিন্তু নিজ মহাদেশকে আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি ব্রাজিলও। পরের ম্যাচেই বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে সেলেসাওদেরও। ফলে এখন বিশ্বকাপটা হয়ে গেছে শুধুই ইউরোপের লড়াই। শেষপর্যন্ত শিরোপাটা যার ঘরেই যাক, এটা নিশ্চিত যে সেটা ইউরোপের মাটিতেই থাকছে।
ইউরোপে আয়োজিত বিশ্বকাপগুলোতে এমনিতেও খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারে না লাতিন আমেরিকার ফুটবল পরাশক্তিগুলো। এখন পর্যন্ত ইউরোপে অনুষ্ঠিত ১০টি বিশ্বকাপের মধ্যে মাত্র একবারই শিরোপা জিততে পেরেছে লাতিন আমেরিকার কোনো দেশ। ১৯৫৮ সালের সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল।
এবারও তেমন কিছু করে দেখানোর সুযোগ শেষপর্যন্ত ব্রাজিলের সামনেই ছিল। কিন্তু বেলজিয়ামের বিপক্ষে হেরে বিদায়ই নিতে হলো সেলেসাওদের।
উরুগুয়ে আর ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে গেছে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। এই দুই দলই ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।
অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে আজ মাঠে নামবে স্বাগতিক রাশিয়া-ক্রোয়েশিয়া ও ইংল্যান্ড-সুইডেন। এই দুই ম্যাচের জয়ী দল খেলবে আরেকটি সেমিফাইনালে।