বাংলাদেশের জালে জর্ডানের চার গোল
গত বৃহস্পতিবার পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ মিনিটের মধ্যে চার গোল খেয়ে শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। পাঁচ দিন পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লড়াইয়ে খানিকটা ‘উন্নতি’ হয়েছে মামুনুল-এমিলিদের। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জর্ডানের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিক দল প্রথমার্ধে তিনটি সুযোগ নষ্ট না করলে ফল অন্যরকম হতে পারত।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পেনাল্টি থেকে জর্ডানের পক্ষে প্রথম গোল করেন আবদাল্লাহ দেব। বক্সের মধ্যে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু হেড করতে গিয়ে হাতে বল লাগালে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পাঁচ মিনিট পরই সমতায় ফিরতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু মামুনুলের কর্নার থেকে ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের চমৎকার হেড ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।
৩২ মিনিটে বাংলাদেশ নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে। ফরোয়ার্ড জুয়েল রানার পাস থেকে বল পেয়েছিলেন জাহিদ হাসান এমিলি। জর্ডানের গোলরক্ষক আমের শাফি পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও বল জালে জড়াতে পারেননি দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।
দুই মিনিট পর বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ভুল কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে জর্ডান। প্রতিপক্ষের একটি কর্নার বিপদমুক্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা অতিথিদের ফরোয়ার্ড মন্তাহের আবু আমারা জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
বিরতির দুই মিনিট আগে এমিলির মতো ভুল করেছেন জুয়েল রানাও। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি গোল করতে পারেননি। আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে জুয়েলের আড়াআড়ি শট সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধে বেশ ভালো লড়াই করলেও বিরতির পর খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ১৪ মিনিটের মধ্যেই দুই গোল খেয়ে বসে তারা। ৫৭ মিনিটে ম্যাচের তৃতীয় এবং ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন আবদাল্লাহ। মিডফিল্ডার ফাদেল হাসানের পাস থেকে চমৎকার প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি।
দুই মিনিট পর আবার গোল। একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আলতো শটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদকে পরাস্ত করেন জর্ডানের ফরোয়ার্ড ইয়াসিন বাকেত (৪-০)।
৭০ মিনিটে বাংলাদেশের দারুণ একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন ইব্রাহিম জাওয়াহারি। জুয়েল রানার পাস থেকে মিডফিল্ডার আব্দুল বাতেনের শট রুখে দেন জর্ডানের এই ডিফেন্ডার।
দুই মিনিট পর বাংলাদেশের আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় জর্ডান গোলরক্ষকের দৃঢ়তায়। আব্দুল বাতেনের পাস থেকে এমিলির শট গোলরক্ষক আমের শাফি প্রতিহত করলে ঘরের মাঠে সান্ত্বনার গোলও পাননি ডি ক্রুইফের শিষ্যরা।
এই দুটো সুযোগ ছাড়া দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। তাই চার গোলে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মামুনুল-এমিলিদের।