কোচ মার্টিনেজ কীভাবে গড়লেন বেলজিয়ামের স্বর্ণালি প্রজন্মকে?
এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের ‘সাহসের’ জায়গা কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারানো। সেমিফাইনালে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলজিয়াম মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের। দলটি যে ফ্রেঞ্চদের বিপক্ষে নির্ভার থাকবে, বলা বাহুল্য। বেলজিয়ামের চলছে ‘সোনালি সময়’। এই সময় একদিনে আসেনি। দেশের ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন তো আছেই, কোচ রবার্তো মার্টিনেজের অবদানও কি কম? রেড ডেভিলদের আজকের এই পর্যায়ে এনে ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার আশা জাগানোয় কোচ মার্টিনেজের ভূমিকাই যে বেশি।
২০১৬ সালের ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ হারের মুখ দেখেছিল বেলজিয়াম। ওয়েলসের বিপক্ষে ৩-১ গোলের পরাজয় হতাশ করেছিল মার্টিনেজকে। এরপর শুধুই সাফল্য। ২০১৬ সালে বেলজিয়ামের দায়িত্ব নেওয়া মার্টিনেজের অধীনের দলটি টানা ২৩ ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা দলটিকে এমন সাফল্য পাইয়ে দেওয়ার পেছনে মার্টিনেজ পালন করেছেন মূল ভূমিকা।
১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের আসরে শেষ সেমিফাইনাল খেলেছে বেলজিয়াম। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে দলটি। দলের কোচ প্রত্যাশা করছেন, ফ্রান্সকে হারিয়ে এই সোনালি প্রজন্মকে নিয়ে ফাইনাল খেলবে তারা।
মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে বেলজিয়ামের ফুটবলকে বোঝার চেষ্টা করছি। আমি একটা গ্রুপ নিয়ে কাজ করছি, যাদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। আমি কেবল তাদের জাতীয় দলকেই ব্যবহার করছি না। আমরা একটা গ্রুপ হয়ে কাজ করছি, যাদের উদ্দেশ্য বেলজিয়ামের ফুটবলের উন্নতি এবং তারা নিজেদের দায়িত্ব বেশ ভালোভাবেই পালন করছে।’
ব্রাজিলের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা বেলজিয়াম ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় ফ্রান্সের বিপক্ষেও। দারুণ খেলে ছেলেরা ফাইনালের মঞ্চে পৌঁছে যাবে বলেই বিশ্বাস এই ৪৪ বছর বয়সী কোচের।