সেমিফাইনালে হার ভোগাচ্ছে হ্যারি কেনকে
১৯৬৬ সালে প্রথম ও শেষ শিরোপা জয়ের আনন্দ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৯০ সালের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল দলটি। সেই আসরে ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই তাদের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়। সুদীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষা! এত বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন হ্যারি কেন, দেলে আলিরা। নাহ! দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের মঞ্চে ওঠা হলো না তাঁদের।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ইংলিশরা। ফাইনালের এত কাছাকাছি গিয়েও এভাবে খালি হাতে ফিরে আসা ভোগাচ্ছে দলের সেরা তারকা হ্যারি কেনকে। এমন দুঃসহ স্মৃতি সহজেই ভুলতে পারবেন না দারুণ ফর্মে থাকা এই খেলোয়াড়।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ইংলিশদের দারুণ সূচনাই হয়েছিল। ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। যদিও ক্রোয়াটরা সমতাসূচক গোল করেছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাদের গোলবঞ্চিত রাখে থ্রি লায়নরা। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মারিও মানজুকিচের গোলে সব এলোমেলো হয়ে যায়। ইংল্যান্ডদের হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ক্রোয়েশিয়া।
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন হ্যারি কেন। ছয় গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে এগিয়ে আছেন সবার চেয়ে বেশি। ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে ও আন্তোনিও গ্রিজম্যান দুজনেই তিন গোল করে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে হ্যারি কেনের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও হয়তো বগলদাবা করবেন টটেনহ্যামের এই তারকা। তবে সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকে এমন বিদায় দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে এই ২৪ বছর বয়সী তারকার কাছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক টুইট বার্তায় হ্যারি কেন লেখেন, ‘এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। এই কষ্ট আমাদের অনেক দিন ভোগাবে। আমরা গর্বিত এবং আবারও পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসব। সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’