রোনালদোর বিকল্প হিসেবে রিয়ালে নেইমার?
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসে চলে যাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ খেই হারিয়ে ফেলেছে। প্রমাণ মিলেছে উয়েফা সুপার কাপের ফাইনালে, ঘরের শত্রু আতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৪-২ গোলে শোচনীয় ভাবে হেরেছে। তাই লস ব্ল্যাঙ্কোসের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ যেকোনোভাবে নেইমারকে দলে আশা করছেন।
রিয়াল ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে জুভেন্টাসের কাছে রোনালদোকে ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁর কোনো বিকল্প বের করতে পারেনি। তাই আতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে বার্নাব্যুতে নতুন তারকার প্রয়োজন অনুধাবন করেছেন রিয়ালের কর্তাব্যক্তিরা। এদিকে পিএসজি কাতার থেকে অতিরিক্ত অর্থমূল্যের ফান্ডিং এবং স্পন্সর পাচ্ছে বলে নজরে এসেছে উয়েফার। ফলে পিএসজির ‘ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে’ নিয়ম ভঙ্গ করায় উয়েফা নিষিদ্ধ করতে পারে তাদের। তাই দল বদলের সময়সীমা দুই সপ্তাহ আগে শেষ হয়ে গেলেও নেইমারকে দলে আনার আশা দেখছে রিয়াল মাদ্রিদ।
কাতার পর্যটন কর্তৃপক্ষ বছরে পিএসজিকে ১২০ মিলিয়ন ইউরো দিচ্ছে। অন্যদিকে ১৯৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নেইমারকে দলে আনা এবং ধারে খেলতে আসা কিলিয়ান এমবাপ্পের ব্যাপারে ১৬৭ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তির ফলে গড়মিল দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেন এবং চুক্তির হিসেবে। তাই উয়েফা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে পিএসজির ওপর। উয়েফার আপিল কমিটি তাদের তদন্তের ফলাফল আগস্টের শেষে জানাবে। তাই পিএসজির সব ঠিক থাকলেও অর্থনৈতিক নিয়ম ভঙ্গ করায় নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তবে জুলেন লুপেতেগুই শুধু একজন স্ট্রাইকারই খুঁজছেন না। দুজন ডিফেন্ডারেরও প্রয়োজনবোধ করছেন তিনি। তাই তাঁদের নজরে আছেন চেলসির মার্কোস আলোনসো। নেইমারকে না পেলেও রোনালদোর অভাব পূরণে রিয়ালের নজরে আছেন ইন্টার মিলানের মারিও ইকার্দি, ভ্যালেন্সিয়ার রদ্রিগো এবং লিপজিগের টিমো ওয়ার্নার।