আজ বাংলাদেশ-ভারত মহারণ
নিদাহাস ট্রফির পরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল বাংলাদেশের অন্যতম চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ১৩৬ রানে হেরে বসেন মাশরাফিরা। এদিকে হংকং ও পাকিস্তানকে হারিয়ে নিজেদের ফেভারিট বলেও প্রমাণ করেছে ভারত। আজ ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই যেন দুই দেশের সমর্থকদের স্নায়ুচাপ। তবে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নো বল বিতর্ক বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচে একই রকম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল, যার রেশ কাটেনি এখনো। এমনকি ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে দেওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ভক্তদের কাছেও বাংলাদেশের আরেক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
তবে এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। দলে চোটের কারণে নেই তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম পাঁজরে চোট নিয়ে খেলছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাই দলে ছিলেন না এ দুই সেরা ব্যাটসম্যান। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানকেও। তাঁর খেসারত দিতে হয়েছে ১৩৬ রানে আফগানদের কাছে পরাজয় বরণ করে। তরুণরা ভালো খেলার চেষ্টা করলেও রশিদ খানের সামনে ম্লান হয়ে যায় সব। অভিষিক্ত আবু হায়দার রনির দুটি উইকেট ও একটি অসাধারণ ক্যাচ বাংলাদেশের জয় আনতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছেন অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন শান্তও। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ভারত এবং বর্তমান ভারতের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে বসায় তাই নিজেদের ভুল সংশোধন নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকবে তরুণদের দিকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ খেলা মুশফিকুর রহিমকে অনেক বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যেভাবে নিচের সারির ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ব্যাটিং করে গেছেন শেষ পর্যন্ত, সেভাবে খেলতে পারলে এই ম্যাচে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেকটাই। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য মুশফিকের গড় রান বেশ আত্মবিশ্বাস জোগাবে দলকে। মুশফিকের সাধারণ গড় ৩৩.৮২, সেখানে শুধু ভারতের বিপক্ষে সেই গড় দাঁড়িয়েছে ৩৮.৫৩ রানে। বাংলাদেশ কোনো দলকে হারালে সেটি এখন আর অঘটন হয় না। তবে এবার সুপার ফোরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের উজাড় করে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
সম্ভাব্য বাংলাদেশ দল : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।