ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে এই আফগানিস্তানের কাছে খুবই বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। বলা যায় এক রকম বিধ্বস্তই হয়েছিল হয়েছিল লাল-সবুজের দল। সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টেস্ট ক্রিকেটে নবীন সদস্য দেশটির মুখোমুখি হয় আবার তারা। এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় একটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায়, গড়ে ২৪৯ রান।
আজ রোববার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় দলীয় ১৬ রানের মাথায় ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর (৬) উইকেট হারিয়ে বসে। দুই রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফিরেন ওয়ানডাউনে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও (১)।
এরপর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস তৃতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান। দুজনে মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। পরে অবশ্য লিটন ৪১ এবং মুশফিক ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরেন। দ্রুত ফিরে যান সাকিব আল হাসানও (০)।
দলীয় ৮৭ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে দল যখন কিছুটা চাপে পড়ে তখন রুখে দাঁড়ান অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল কায়েস। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৮ রানের চমৎকার একটা জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান তাঁরা।
মাহমুদউল্লাহ ৮১ বলে ৭৪ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে গেলেও ইমরুল একপাশ আগলে রাখেন। তিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেন ৭২ রান। অধিনায়ক মাশরাফি ৯ বলে ১০ রান করে আউডট হলেও মেহেদী হাসান মিরাজ চার বলে পাঁচ রানে ছিলেন অপরাজিত।
গতকাল হঠাৎ দলের সঙ্গে যোগ দেন ইমরুল। আজ একাদশে সুযোগ পেয়ে তা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। মুমিনুল হকের জায়গায় নেওয়া হয়েছে তাঁকে।
এই ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েন পেসার রুবেল হোসেন। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক হয়েছে।
আফতাব আলম ৫৪ রানে তিনটি এবং রশিদ খান ৪৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েও বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ার ক্ষেত্রে খুব একটা বাধা হতে পারেননি।