বিয়ের দিন ঠিক করে ফেললেন সাইনা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/10/09/photo-1539082097.jpg)
বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা সাইনা নেহওয়াল। আরেক ব্যাডমিন্টন তারকা পারুপল্লী কাশ্যপ এবং সাইনা আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিয়ে করছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েই প্রেমের গুঞ্জনকে বিয়ের খবর পর্যন্ত গড়ালেন এই তারকা।
কাশ্যপ ও সাইনা ২০০৫ সাল থেকেই পুলেল্লা গোপীচাঁদের কাছে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন। নিজেরা একসঙ্গে সময় কাটানোর ব্যাপারে গুঞ্জনকে উড়িয়ে দিয়ে আসছিলেন দুজনেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ বছর ধরে প্রেম চলছিল দুজনের।
এ ব্যাপারে সাইনা বলেন, ‘আমরা ২০০৭-০৮ সাল থেকেই লম্বা সফরে যাওয়া শুরু করেছিলাম। আমরা টুর্নামেন্টে একসঙ্গে খেলেছি, একসঙ্গে শিখেছি। ধীরে ধীরে একে অন্যের খেলার দিকে দুজনে মনোযোগ দিতে শুরু করি। আমরা এমন প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাস করি, যেখানে কারো কাছে আসা অনেক কঠিন। কিন্তু কীভাবে যেন আমরা খুব সহজেই দুজনের সঙ্গে কথা বলতাম, ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করতাম। ধীরে ধীরে অনুভূতি জন্মেছে।’
তবে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছেন দুজনই। সাইনা বলেন, ‘আমরা শুরুতেই বিয়ে নিয়ে ভাবিনি। যে পেশা আমরা বেছে নিয়েছি, তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে জেতা অনেক জরুরি এবং আমরা জলদি বিয়ে করে লক্ষ্য হারাতে চাইনি। শিশুর মতো করে খেলোয়াড়দের যত্নের প্রয়োজন হয়। বাসায় আমি না চাইতেই সব পেয়ে যাই। তবে বিয়ের পরই এতে পরিবর্তন আসবে। আমার নিজের দায়িত্ব তখন আমাকেই নিতে হবে।’
সাইনা প্রমিলা ব্যাডমিন্টন জগতের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় এবং বর্তমানে কোরিয়া ওপেনে খেলছেন। ২০টি বড় টুর্নামেন্টে জয়, অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকসহ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য অর্জন করেছেন তিনি। কশ্যপও ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়ার আগে বিশ্বের পুরুষ টেনিস তারকাদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছিলেন, যা তাঁর খেলোয়াড় জীবনে সর্বোচ্চ।
বিয়ের তারিখের ব্যাপারে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সাইনা জানান, ‘ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকেই আমি প্রিমিয়ার ব্যাডমিন্টন খেলতে নামব। তার পরই আছে টোকিও গেমসের কোয়ালিফায়ার। তাই ১৬ ডিসেম্বর ছাড়া আর কোনো সময় নেই। এশিয়ান গেমস ও কমনওয়েলথ গেমসের আগে আমি চাপ নিতে চাই না। তবে এখন নিজেদের সামলাতে আমরা প্রস্তুত বলে আমি মনে করি।’
তবে বাসায় নিজের পছন্দের কথা কীভাবে জানিয়েছেন জানতে চাইলে সাইনা বলেন, ‘জানানোর প্রয়োজন হয়নি। আমরা বেশির ভাগ সময় একসাথে থাকতাম এবং আমার সঙ্গে আমার মা-বাবা গিয়েছিলেন। তাঁরা জানতেন আমি কার সঙ্গে থাকতে পছন্দ করি। এমনকি ম্যাচে হেরে গেলেও আমি কশ্যপের সঙ্গে থাকতাম।’