তাইজুলের অনন্য কীর্তি
ওয়ানডে দলে নিয়মিত না হলেও বাংলাদেশ টেস্ট দলের চেনা মুখ স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ওপেনার মুমিনুল হকের মতো তিনিও অটো চয়েজ হিসেবে টেস্ট দলে খেলেন। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ভালো পারফর্ম করেছিলেন। এবারে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে চমক দেখিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
প্রথম ইনিংসে তাঁর ঘূর্ণিতে মাত্র ২৮২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ছয় উইকেট নিয়ে এবং সাতটি রানশূন্য ওভারের বদৌলতে দিয়েছেন মাত্র ১০৮ রান। তবে জিম্বাবুয়ের কাইল জার্ভিস, সিকান্দার রাজা ও টেন্ডাই চাতারার বোলিং তোপে মাত্র ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ঠিক পরের ইনিংসে আবারও জ্বলে উঠলেন তাইজুল।
প্রথম ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তাইজুল। তবে পরের ইনিংসের প্রথম ওভার বোলিংয়ে এসেও সেই আশা পূরণ করতে পারেননি তিনি। আজ জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে যেন আরেক বোলার মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন তিনি। ১৯তম ওভারে ব্রেন্ডন টেইলরকে আউট করে নিজের সপ্তম উইকেট নেন তিনি।
তখনো চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ১০ উইকেট পেতে তিন উইকেট বাকি ছিল তাইজুলের। জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন ধসিয়ে দিয়েছেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। সিকান্দার রাজাকে আউট করার মধ্য দিয়ে এক টেস্টে ১০ উইকেট লাভ করেন তিনি। এর আগে ১০ উইকেট পেয়েছেন কেবল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, উদীয়মান তারকা খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ এবং এনামুল হক জুনিয়র। কাকতালীয়ভাবে এঁরা সবাই স্পিনার। ২০০৫ সালে এনামুল হক জুনিয়রের পর ১০ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব, ২০১৪ সালে এবং ২০১৭ সালে। ২০১৬ সালে মিরাজ ছুঁয়েছিলেন এই ফলক।
অবশ্য এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট মিরাজের। সেই ম্যাচে একাই বারো উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড অক্ষত রয়েছে। কারণ, মোট ১১ উইকেট পেয়েছেন তাইজুল।
বোলাররা তাঁদের কাজ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১৮১ রান করায় বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩২১ রান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এই রান করে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্টে জয়ের স্বাদ বাংলাদেশের ভক্তদের দিতে পারে কি না, সেটিই দেখার বিষয়।