ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/10/photo-1541841144.jpg)
আগামীকাল রোববার মিরপুরে শেরেবাংলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। প্রথম টেস্টে শোচনীয়ভাবে হার এবং ব্যাটিং ব্যর্থতা ভাবাবে বাংলাদেশ দলকে। অন্যদিকে অন্তত ড্র করলেই টেস্ট সিরিজ জয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়বে জিম্বাবুয়ে। তাই নিজেদের সম্মান বাঁচাতে এই টেস্টে জিততে হবে বাংলাদেশকে। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে দীর্ঘ সংস্করণে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
ওয়ানডে সিরিজে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে দলকে হোয়াইটওয়াশ করে জয়ের উদযাপন বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই দলের কাছে মাত্র সাড়ে তিন দিনে টেস্টে হেরে আবারও লজ্জায় ডুবেছে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশ ওয়ানডেতে যতটা শক্ত প্রতিপক্ষ, ততটাই দুর্বল টেস্টে। যদিও গত দুই বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে টেস্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ, তবুও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফুটে উঠেছে ব্যাটিং ব্যর্থতা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের অর্জন বলতে তাইজুলের ১১ উইকেট এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আরিফুল হকের কিছু রান। শেষ ইনিংসে ইমরুলের টেস্টসুলভ ইনিংস কিংবা প্রথম ইনিংসে মুশফিকের দলের হাল ধরার চেষ্টা হয়তো কিছুটা সাহস জোগাবে বাংলাদেশ দলকে। তবে টেস্টে ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার ঘটনা ভাবাবে নির্বাচকদের।
টেস্ট দলে নেই ড্যাশিং বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল এবং টেস্ট দলের নিয়মিত অধিনায়ক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ওয়ানডে সিরিজে লিটন দাস, ইমরুল কায়েস এবং শেষ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার জ্বলে উঠলেও টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া লিটন-ইমরুল পাননি একটিও অর্ধশতক। দুই ইনিংস মিলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের একক সর্বোচ্চ রান মাত্র ৪৩, সেটিও ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনিং জুটি কিছুটা আশা জুগিয়েছিল। তবে মাত্র ৫৬ রানের মাথায় সেটিও ভেঙে গেলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ এবং ফলাফল টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫১ রানের বিশাল হার। প্রথম ইনিংসেও একইভাবে উইকেট হারিয়েছিল তারা।
সিলেটে স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করা হলেও ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ। মিরপুরে কেমন হবে বাংলাদেশ দলের পারফরমেন্স সেটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। টেস্ট ক্রিকেটে ২০ উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশ দল অর্জন করলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেট ধরে রাখতে পারেনি খেলোয়াড়রা। তাই দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশ কতটুকু ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, সেটিই একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।