বাংলাদেশ থেমেছে ৫২২ রানে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/11/12/photo-1542012105.jpg)
ইঙ্গিতটা প্রথম দিনেই দিয়েছিল বাংলাদেশ, বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে। দ্বিতীয় দিনে তাই আত্মবিশ্বাসী মেজাজে শুরু করে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। বেশ সতর্কভাবে খেলে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম শুধু দলকে এগিয়েই নেননি, রেকর্ড গড়ে দলকে বিশাল সংগ্রহ গড়ে দিতে রাখেন মূল্যবান অবদান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি প্রথম উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে দুটি দ্বিশতক করেন।
আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। দিনের বাকি সময়ে জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারের ২৫ রান তুলেছে, হারিয়েছে একটি উইকেট।
যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।
মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।
এর আগে প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯০ ওভারে ৩০৩ রান করেছিল, যাতে মুমিনুল ১৬১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট শতক। আর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে মুশফিক ছিলেন ১১১ রানে অপরাজিত।
তবে দুজনে মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান।
শেরেবাংলায় এটি হয়েছে দারুণ একটি রেকর্ড। এই মাঠে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়েছেন তাঁরা।
এর আগে লিটন দাস ৯ ও ইমরুল কায়েস শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। কোনো রান না নিয়ে আউট হন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া মিঠুনও।
আর মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ও তাইজুল ৪ রান করে নেন।