জোহানেসবার্গে রোমাঞ্চকর একদিন দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/01/12/photo-1547279913.jpg)
প্রথম দুটি টেস্টেই পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করে সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে নিয়মিত অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি তৃতীয় টেস্টটি মিস করলেও নিরঙ্কুশ ফেভারিট ছিল স্বাগতিকরাই। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলটির নাম অননুমেয় পাকিস্তান বলেই টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনেই সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেখল জোহানেসবার্গের দর্শকরা।
টস জিতে ওয়ান্ডারার্সের সহায়ক উইকেটে ব্যাটিং বেছে নেন এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিতে নামা ডিন এলগার। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ আব্বাসের বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান এলগার। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় সংগ্রহ ছিল মাত্র ৬ রান। তবে অভিজ্ঞ হাশিম আমলাকে নিয়ে অন্য ওপেনার এডেন মার্করাম দারুণ আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু ফাহিম আশরাফের বলে সরফরাজকে ক্যাচ দিয়ে নড়বড়ে ৯০ রানে মার্করাম ফিরে যান। দলীয় ১৫৪ রানে হাশিম আমলা ফিরে যান ব্যক্তিগত ৪১ রান করে।
থিউনিস ডি ব্রুইন আর ডু প্লেসির পরিবর্তে নামা তরুণ জুবায়র হামজা চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়ে খেলায় আবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রভাব ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু ২২৯ রানে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ডি ব্রুইন। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে মোহাম্মদ আব্বাসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ডি ব্রুইন ফিরে যান। এরপর দুর্দান্তভাবে খেলায় ফিরে আসে পাকিস্তান। ৩৩ রানে শেষ ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ২৬২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করে দেয় তারা। ফাহিম আশরাফ তিনটি ও মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলী দুটি করে উইকেট নেন। স্পিনার শাদাব খান নেন একটি উইকেট।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তানের টপ অর্ডার। দারুণ ছন্দে থাকা ভারনন ফিলান্ডার মাত্র ৬ রানে শান মাসুদ আর আজহার আলীকে ফিরিয়ে দেন। তবে নাইট ওয়াচম্যান মোহাম্মদ আব্বাসের সাথে ইমাম-উল হক দেখেশুনে খেলে বাকি সময়টুকু পার করেছেন। দিনশেষে পাকিস্তানের দলীয় স্কোর ১৭ রান।