বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাক্সওয়েল!
প্রায় দুই বছর কোনো ওয়ানডে সিরিজ জেতা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ‘বল টেম্পারিং’-কাণ্ডে নিয়মিত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞায় আছেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরলেও সম্ভবত তাঁদের কাউকেই দেওয়া হবে না অধিনায়কের দায়িত্ব। এদিকে, দরজায় কড়া নাড়ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে কার হাতে শোভা পাবে অস্ট্রেলিয়ার আর্মব্যান্ড? সাবেক পেসতারকা মিচেল জনসন বলছেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেই দেওয়া উচিত অধিনায়কের দায়িত্ব।
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা অ্যারন ফিঞ্চ ব্যর্থ হয়েছেন। সফরকারী ভারতের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে ফিঞ্চের ব্যাটিংয়ে অধিনায়কত্বের নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিকে স্মিথ আর ওয়ার্নার ফিরে এলে কিছু খেলোয়াড় অদলবদল করে দলের সঠিক ভারসাম্যটাও ঠিক করে নিতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে ম্যাক্সওয়েলকেই সবচেয়ে যোগ্য মনে হয়েছে জনসনের।
আইপিএলে জনসনের অভিজ্ঞতা আছে ম্যাক্সওয়েলের নেতৃত্বে খেলার। বিগ ব্যাশে এবার মেলবোর্ন স্টারসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডানহাতি আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। তাই ক্রিকেট মাঠে অধিনায়কত্বের খুঁটিনাটি ভালো করেই জানা আছে তাঁর। ৩৭ বছর বয়সী জনসন বলছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পছন্দ না হলেও মেলবোর্নের হয়ে ম্যাক্সওয়েলের নেতৃত্বের কিছু ঝলক দেখেছে সবাই। বড় দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর সেরাটা বের হয়ে এসেছে।’
অসিদের ২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডে দুজনেই ছিলেন। আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব দলেও ছিলেন সতীর্থ। ম্যাক্সওয়েলের ম্যাচ পরিকল্পনা, কৌশল, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা বিষয়ে তাই ভালোই জানা আছে অ্যাশেজ তারকার। মারকুটে ব্যাটসম্যানের পক্ষে নিজের ভোট দিয়ে জনসন বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, ম্যাক্সি নেতৃত্বে ভালো করবে। কোনো ম্যাচের অনেক দূরের অবস্থা সম্পর্কে আগে থেকেই ভাবতে পারে সে, পরিকল্পনাও করতে পারে। ওর ফিল্ডিং সাজানোটাও হয় দারুণ। অধিনায়ক করা হলে হয়তো ওর সেরাটা দেখা যাবে। আর দায়িত্ব পেলে সে ব্যাটসম্যান হিসেবেও আরো পরিণত হবে আশা করি।’
দেখা যাক, জনসনের পরামর্শ মেনে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ম্যাক্সওয়েলকে দায়িত্বভার অর্পণ করে কি না।