ইউনুসকে মিয়াঁদাদ-ইনজামামের অভিনন্দন
টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড ১৯৯৩ সাল থেকে জাভেদ মিয়াঁদাদের দখলে ছিল। রেকর্ডটা ভাঙার খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন ইনজামাম-উল-হক। ২০০৭ সালে অবসর নেওয়ার আগে মাত্র চার রানের জন্য মিয়াঁদাদকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি ‘ইনজি’। তবে এখন পাকিস্তানের দুই ব্যাটিং-কিংবদন্তিকেই ছাড়িয়ে গেছেন ইউনুস খান। টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়ার পর ইউনুসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিয়াঁদাদ-ইনজামাম দুজনেই।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইউনুস ব্যাটিং শুরু করেছিলেন ৮৮১৪ রান নিয়ে। মিয়াঁদাদকে ছাড়িয়ে যেতে তাঁর প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ১৫ রান করে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ইনজামামকে। তারপর মঈন আলীর বলে দারুণ এক ছয় মেরে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ‘ইনজি’ আর ‘বড়ে মিয়া’কে। প্রথম ইনিংসে ৩৮ রান করে আউট হওয়া ইউনুসের সংগ্রহ আপাতত ৮৮৫২ রান। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মিয়াঁদাদ (৮৮৩২) দ্বিতীয় আর ইনজামাম (৮৮২৯) তৃতীয় স্থানে এখন।
টেস্টে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ার পর ইউনুসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মিয়াঁদাদ-ইনজামাম দুজনেই। মিয়াঁদাদের মন্তব্য, ‘আমি খুব খুশি হয়েছি যে আমার রেকর্ডটা ভেঙেছে একজন দেশপ্রেমিক খেলোয়াড়। যে খেলে তার দল ও দেশের জন্য। ইউনুস খুবই পরিশ্রমী খেলোয়াড়। সততা আর দৃঢ়তা দিয়ে সে নিজের জাত চিনিয়েছে।’
ইউনুসের শেখার আগ্রহকেও কুর্নিশ জানিয়েছেন মিয়াঁদাদ, ‘ইউনুস আমার কোচিংয়ে খেলেছে আর আমার সবসময়ই তাকে খুব ভালো ছাত্র মনে হয়েছে। সে সব সময়ই নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী আর সেসব কাজে লাগাতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এটাই একজন ভালো ক্রীড়াবিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য।’
ইনজামামের মুখেও ইউনুস-বন্দনা, ‘সে যখন দলে এসেছিল তখন তাকে তেমন মেধাবী বলে মনে হয়নি আমার। কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সব প্রতিকূলতা জয় করেছে। দলের প্রয়োজনের সময় সে জ্বলে উঠে রান করে। আর এটাই একজন দুর্দান্ত টিমম্যানের লক্ষ্মণ।’