ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে জোকোভিচ
ইতিহাস গড়তে আর মাত্র একটি জয় চাই নোভাক জোকোভিচের। শুক্রবার গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্টানিস্লাস ভাভরিঙ্কাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে ওঠা সার্বিয়ান তারকার সামনে অনন্যকীর্তির হাতছানি। ফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ যুক্তরাজ্যের অ্যান্ডি মারে।
উন্মুক্ত যুগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সর্বোচ্চ চারটি শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ, রজার ফেদেরার ও আন্দ্রে আগাসি। এবার সুইস ও মার্কিন তারকাকে পেছনে ফেলে রেকর্ডটা নিজের করে নেওয়ার দারুণ সুযোগ জোকোভিচের সামনে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের গত দুই আসরে জোকোভিচ ও ভাভরিঙ্কা দুটি অসাধারণ ম্যাচের জন্ম দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে চতুর্থ রাউন্ডে তীব্র লড়াই করে ভাভরিঙ্কাকে ১-৬, ৭-৫, ৬-৪, ৬-৭ (৫-৭), ১২-১০ গেমে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন জোকোভিচ। এরপর প্রতিযোগিতার চতুর্থ শিরোপাও উঠেছিল সার্বিয়ান তারকার হাতে।
গত বছর সেই হারের প্রতিশোধ নেন সুইজারল্যান্ডের ভাভরিঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালে আরেকটি স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ের জন্ম দিয়ে ২-৬, ৬-৪, ৬-২, ৩-৬, ৯-৭ গেমে হারিয়ে দেন জোকোভিচকে। এরপর জিতে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাও।
এবারও আরেকটি ‘ক্লাসিক’ ম্যাচের ইঙ্গিত দিচ্ছিল মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনা। প্রথম চার সেট শেষে ২-২ সমতায় মনে হচ্ছিল শেষ সেটেও তীব্র লড়াই হবে। কিন্তু শেষ সেটে ভাভরিঙ্কাকে দাঁড়াতেই দেননি সাতটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী জোকোভিচ। সাড়ে তিন ঘণ্টা দীর্ঘ খেলার ফল ৭-৬, ৩-৬, ৬-৪, ৪-৬, ৬-০।
ফাইনালে মারের চেয়ে জোকোভিচকেই এগিয়ে রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত ২৩টি মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৫টিতেই জয় পেয়েছেন জোকোভিচ। ২০১১ ও ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মারেকে হারিয়েছিলেন জোকোভিচ। ২০১২ সালেও শিরোপা জয়ের পথে সেমিফাইনালে মারে হার মেনেছিলেন তাঁর কাছে।
টেনিস সার্কিটে ‘জোকার’ নামে পরিচিত জোকোভিচকে এসব তথ্য ফাইনালে অনুপ্রাণিত করবেই।