কী হলো পাকিস্তানের বোলারদের?

পাকিস্তান ক্রিকেট দলটাকে বলা হয় ‘আনপ্রেডিক্টেবল।’ খুব ভালো অবস্থা থেকেই ঝুরঝুর করে উইকেট পড়ে যাওয়ার কুখ্যাতি রয়েছে দলটির ব্যাটিং অর্ডারের। কিন্তু বোলিং লাইনটা বরাবরই দুর্দান্ত তাদের। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলমান ওয়ানডে সিরিজে যেন বোলিং ভুলে গেছে পাকিস্তানের বোলাররা। দুই ম্যাচে দলের বোলাররা মাত্র তিনটি উইকেট নিয়েছেন। আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৮০ রান করেও আট উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছিল শোয়েব মালিকের দল। রোববার ২৮৪ রান করেও একই ব্যবধানে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে অনায়াস জয় এনে দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ।
বিশ্বকাপের আগে নিয়মিত একাদশের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ খেলতে যায় পাকিস্তান। কিন্তু এরপরেও মোহাম্মদ আব্বাস, নতুন সেনসেশন মোহাম্মদ হাসনাইন, ইয়াসির শাহকে নিয়ে দলের বোলিং আক্রমণটা মোটেই ফেলনা নয়। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে নখদন্তহীন বোলিং করেছে দলের বোলাররা। অন্যদিকে, অ্যারন ফিঞ্চের ফর্মে ফেরায় দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়ে যায় অসিরা। ফিঞ্চের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা অপরাজিত ১৫৩ ও উসমান খাজার ৮৮ রানের উপর ভর করে ১৩ বল বাকি থাকতে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৫ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। শূন্য রানে ইমাম-উল-হক ও দলীয় ৩৫ রানে ফিরে যান শান মাসুদ। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হারিস সোহেল ও উমর আকমলও দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর অধিনায়ক শোয়েব মালিক ক্রিজে আসেন। রিজওয়ানের সঙ্গে ২২.১ ওভারে ১২৭ রান তোলেন মালিক। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে ১২৬ বলে ১১টি বাউন্ডারিতে ১১৫ রান করা রিজওয়ান আউট হন। বলে বলে রান তুলে শোয়েব মালিক ৬০ রান করেন ৬১ বল থেকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৮৪ রান করে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার ঝাই রিচার্ডসন ও নাথান কোল্টার-নাইল নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানিদের ধারহীন বোলিংয়ের কল্যাণে উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৬.৪ ওভারে ২০৯ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ১০৯ বলে আট চারে ৮৮ রান করা উসমান খাজা লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর বলে আউট হওয়ার পর অ্যারন ফিঞ্চ সারেন বাদবাকি আনুষ্ঠানিকতা। ১৪৩ বলে ১১টি চার ও ছয় ছক্কায় ১৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অসি অধিনায়ক।
এই জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। আগামী ২৭ মার্চ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেমুখোমুখি হবে দুই দল।