ইতিহাস গড়ার দিনে যত রেকর্ড সৌম্যর
আসন্ন বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে জায়গা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। অবশ্য এই দলে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে কম সামলোচনা হয়নি। সেই সমালোচনার জবাবটা ভালোভাবেই দিয়েছেন এই তরুণ হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শেষ ম্যাচে শুধু ব্যাটিং তাণ্ডবই চলাননি, গড়েছেন ইতিহাস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। এদিন আরো কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য।
আজ মঙ্গলবার শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দলের জয়ে খেলেছেন ২০৮ রানের অপরাজিত দ্বিশতক। ১৫৩ বলে ১৪টি চার ও ১৬টি ছক্কায় এই ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। তাঁর অসাধারণ ইনিংসের ওপর ভর করে আবাহনী নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে।
ইতিহাস গড়ার দিনে আরো কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন সৌম্য। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছেন তিনি। রকিবুল হাসানের ১৯০ রান টপকে এদিন দ্বিশতক করেন তিনি।
এই ম্যাচে সৌম্য ১৬টি ছক্কা মেরেছেন। যেকোনো ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের মাটিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মার।
আরেকটি বড় রেকর্ড হয়েছে ওপেনিংয়ে। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে দুজনে মিলে করেন ৩১২ রান।
অবশ্য এটি সৌম্যের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যুব এশিয়া কাপে একটি দ্বিশতক করেছিলেন। ২০১২ সালে কাতারের বিপক্ষে সে ম্যাচে করেছিলেন ২০৯ রান।
বিকেএসপিতে প্রতিপক্ষ শেখ জামালের করা ৩১৭ রান তাড়া করতে নেমে বোলারদের নিয়ে এক রকম ছিনিমিনি খেলবেন সৌম্য। সম্ভবত দূরতম কল্পনাতেও ছিল না জামালের বোলারদের। ৫২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর মাত্র ৭৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। সেঞ্চুরি করতে আটটি চারের পাশাপাশি বিশাল আটটি ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
ব্যাট হাতে কতটা আগ্রাসী ছিলেন সৌম্য, তাঁর ইনিংসের দিকে খেয়াল করলেই এটা বোঝা যায়। ৫২ বলে হাফসেঞ্চুরির পর পরের ৫০ করতে মাত্র ২৬ বল খেলেন তিনি। ১০০ থেকে ১৫০ ছোঁয়ার পথে পরের ৫০ তুলেছেন মাত্র ২৬ বলে। তবে ব্যাট হাতে রানখরার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচনায় বিদ্ধ এই ব্যাটসম্যান আরো বড় কিছুর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। রীতিমতো দ্বিশতক করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন বাংলাদেশ দলের এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।